পুলিশ জনণের শাসক নয়”পুলিশ জনগনের বন্ধু ও সেবক। অনেকেই তা জানতো না কিন্তু মানবিক কিছু পুলিশের কার্যক্রমে তার বাস্তবতা ও সত্যতা মানুষ খুঁজে পায়েছে সাধারন মানুষ। ঠিক তেমনি জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এ.কে.এম আলমগীর জাহান এর গৃহীত জনবান্ধব পুলিশি সেবা কার্যক্রমে জনগণের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
জয়পুরহাট সদর থানায় তাহার যোগাদানের বয়স মাত্র এক বছরে এরই মধ্য তিনি বিগত বিদায়ী ওসিদের দ্বারা অনেকেই হয়রানিসহ নির্যাতিত হলেও মাত্র ১১ মাসে সেসব চিত্র পাল্টে পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন।
এমনকি তার যোগাদানের পর থেকেই নেই কোন রাজনৈতিক অহেতুক মামলার ভয়, নেই কোন মিথ্যে মামলার হয়রানী। যা এক সময় ছিলো সাধারণ মানুষেরা বিপদে পরলেও তারা থানার আশেপাশে যাওয়ার সাহস করতেন না এমকি অন্ধ কানা ব্যক্তিরাও পুলিশের ভয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটেনি। সাধারণ জনগণ পুলিশকে দেখলেই তাদের মনে ভয়ভীতি কাজ করতো।
পুলিশ সম্পর্কে ভয়ভীতির সকল চিত্র পাল্টে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এ.কে.এম আলমগীর জাহান।
বর্তমান বাংলাদেশ পুলিশের যে অঙ্গীকার তা তিনি মাত্র এক বছরেই জয়পুরহাট সদর উপজেলায় বসবাসরত প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের দৌরগোড়ায় পুলিশের সেবা পৌঁছে দিতে দিনরাত কাজ করে জেলাতে ব্যাপক প্রসংশায় অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড.বেনজির আহমেদ,রাজশাহী বিভাগীয় রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন-বিপিএম-পিপিএম ও জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা-পিপিএম-সেবা’র নির্দেশনায় জয়পুরহাটের সাধারণ মানুষের দৌরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.কে.এম আলমগীর জাহান।
মানুষের মুখে মুখে ওসি’র এমন প্রশংসার কথা শুনে প্রতিবেদক গোপন অনুসন্ধান চালিয়ে জানতে পারে বর্তমানে জয়পুরহাট সদর থানায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন,জিডি কিংবা মামলা করতে কোন টাকা লাগেনা,কোন অপরাধীর তথ্য যদি কোন পুলিশ সদস্যকে দিয়ে থাকেন তাহলে তথ্য দাতার নাম গোপন রাখা হয়।
সদর থানার একটি সূত্রে আরও জানাযায়, ওসি এ.কে.এম আলমগীর জাহান জয়পুরহাট সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করার পর ঘুষ দুর্নীতি ও দালাল মুক্ত থানা গড়ে তুলে পুলিশি সেবা কার্যক্রম পাল্টে দিয়েছেন। তিনি যোগাদানের পর থেকে কোন অভিযোগ, জিডি ও বিশেষ করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে পুলিশকে কোন প্রকার টাকা দিতে হয়না।
বাংলাদেশ পুলিশের সকল প্রকার পুলিশি সেবা সাধারণ মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে তিনি নিরলসভাবে দিনরাত কাজ করছেন নিজেই।তার এমন সৃজনশীল কর্মপরিকল্পনা ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত সীমান্তবর্তী জয়পুরহাট জেলা হওয়ার কারণে সন্ত্রাস,মাদক ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখাতেও তিনি ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।
পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের মামলা দ্রুত উদঘাটন করে আসামীদের জেলহাজতে প্রেরণ করতেও সক্ষম হয়েছেন। বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী ভারত দেশ থেকে হাকিমপুর(বাংলা হিলি) দু জয়পুরহাট মহা-সড়কের যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার,মোটরসাইকেল ও মিনিট্রাক গুলো ওসির নেতৃত্বে থানা পুলিশের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে মাত্র এক বছরে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট,ফেন্সিডিল,গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষমও হয়েছেন তিনি।
এছাড়াও জয়পুরহাট সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত,অস্ত্র ব্যবসায়ী, মাদক সেবী- মাদক ব্যবসায়ী, ধর্ষক,পতিতালয়, ইভটিজার,চোর, কুখ্যাত ডাকাতসহ ডাকাতি ও ছিনতাইকৃত অসংখ্য মোটরসাইকেল,ইজিবাইক,গবাদি পশু,স্বর্ণালংকারসহ ডাকাতি বা চুরি হওয়া বাড়ির মালামাল দ্রুত উদ্ধারসহ ডাকাত ও চোর চক্রের সদস্য ও সমাজে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরণের অপকর্মের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনেছেন তিনি।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার সকল এলাকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ওসি এ.কে.এম আলমগীর জাহান। বাংলাদেশ পুলিশের সকল কার্যক্রম মানুষের হাতের নাগালে পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বিট পুলিশি সেবা চালু করেছেন তিনি।
তিনি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারী প্রাদুর্ভাবের শুরুতে অসহায় ও কর্মহীন মানুষের মাঝে জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে এবং তার নিজস্ব অর্থায়নে ত্রাণ সহায়তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
এমন মানবিক কার্যক্রমের ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে পুলিশ সম্পর্কে যে ভুল ধারণাটি ছিলো তা তিনি শাসক হিসেবে নয় সেবক হিসেবে কাজ করে পুলিশের সম্পর্কে যে ভুল ধারনাটি মানুষের মাঝে ছিলো তিনি তা এক বছরে পাল্টাতে সক্ষম হয়েছেন।
চলমান করোনাকালীন সময়েও তিনি অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ ও ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে আরও প্রশংসিত হয়েছেন।এবং বর্তমানে স্বামীহারা বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত নির্যাতিত ও বিভিন্ন সন্তানের জননীদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। এমনকি এহেতুক মিথ্যা বা হয়রানি মূলক মিথ্যা না নিয়ে তিনি নিজেই উভয়পক্ষকে থানাতে ডেকে আপোষ মিমাংশার মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন পারিবারিক, জমি,বিবাহবিচ্ছেদের মতো ঘটনাও গুলোও সমস্যা সমাধান করে আসছেন। তিনি এখনো নিজ বেতনের টাকা থেকে অনেক অসহায় পরিবারে পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন এবং এখনো দিয়েই যাচ্ছেন।
জয়পুরহাট সদর থানার প্রশংসিত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আলমগীর জাহানের প্রশংসার বিষয়টি প্রতিবেদক সাংবাদিক নিরেন দাসের দৃষ্টিগোচর হলে সদর থানায় প্রতিবেদক জয়পুরহাট জেলার জনবান্ধব, ঘুষ দুর্নীতি মুক্ত প্রশংসিত ওসি আলমগীর জানানের সাথে কথা বললে তিনি তার সাক্ষাতকারে প্রতিবেদককে বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নতশীল দেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি,রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশ মানুষের দৌরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
জয়পুরহাটে আইন শৃঙ্খলার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। ইভটিজিং,নারী নির্যাতন, যৌতুক প্রথা, বাল্য বিবাহসহ বিভিন্ন ধরণের অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে যারা জড়িত, তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করেছি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আমার ভূমিকা অপরিহার্য।
সাক্ষাতকারের ওসি আরও বলেন, এখন পুলিশি সেবার কার্যক্রম পাল্টে গেছে যা একমাত্র আপনাদের লিখুনির মধ্যদিয়ে জনগণ জানতে পারছে। যেমন থানায় এখন জিডি,অভিযোগ ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে কোন টাকার প্রয়োজন হয়না। আমি জনগণের টাকায় বেতন পাই তাই আমার দরজা সকল জনগণের জন্য দিনরাত ২৪ ঘন্টায় খোলা। আমার অফিসে আসতে কোন অনুমতি বা দালালের প্রয়োজন হয়না। দালাল ছাড়া যেকোনো ব্যক্তি নির্ভয়ে থানায় এসে পুলিশি সেবা পেয়ে থাকেন। এবং কোন ধরণের অন্যায় তদবির আমার থানায় করে কোন লাভ হয়না।
চোর,ডাকাত,সন্ত্রাস ও মাদক সেবী-মাদক বিক্রেতারা যতোবড়ই প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হয়না।এসব বিষয়ে আমরা পুলিশ সবসময় জিরো টলারেন্সে রয়েছি। আমার সদর থানার এলাকার আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি এলাকার জন-প্রতিনিধি,সুশীল সমাজ ও আপনার সাংবাদিক ভাইদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। এজন্য আপনাদের সকলের সহযোগীতা সর্বদায় আমাদের দরকার আশাকরি আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।
রাজশাহীর সময় / এম আর