২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০২:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন


ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর পোশাক পরে কিয়েভে ঢুকছে রুশ সেনারা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০২-২০২২
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর পোশাক পরে কিয়েভে ঢুকছে রুশ সেনারা ফাইল ফটো


ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর পোশাক পরে দেশটির রাজধানী কিয়েভে ঢুকছে রুশ সৈন্যরা; এবং পোশাকের বিভ্রান্তিকে কাজে লাগিয়ে সামরিক যানবাহন দখলসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে।

কিয়েভের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে শুক্রবার সকালে ইউক্রেনের উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর সামরিক পোষাক পরে কিছু রুশ সেনা কিয়েভে ঢুকে সেনা বাহিনীর দুইটি সাঁজোয়া যান দখল করে কিয়েভের মধ্যাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।’

শুক্রবার সকালে কিয়েভে প্রবেশ করেছে রুশ সেনা বাহিনী এবং রাজধানীর মূল কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে।

কিন্তু ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর বাধার কারণে বিলম্বিত হচ্ছে সেই যাত্রা। কিয়েভের বিভিন্ন প্রান্তে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় জানান, আগ্রাসনকারী বাহিনী বেসামরিক মানুষজনকে তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে এবং কিয়েভের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

জেলেনস্কি বলেন, ‘তারা(রুশ বাহিনী) সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনার মধ্যে কোনো তফাত করছে না। নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সেনাবাহিনী ইউক্রেনের আকাশসীমাকে দখলমুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেনবাসীরা বীরের মতো লড়ছে।’

এক টুইটবার্তায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেন, ‘ভয়ঙ্কর ‍রুশ রকেটগুলো কিয়েভে আঘাত করছে। এর আগে সর্বশেষ আমাদের এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল ১৯৪১ সালে, যখন জার্মান নাৎসি বাহিনী ইউক্রেনে আঘাত হেনেছিল।’

শুক্রবার ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান দ্বিতীয় দিনে গড়াল। দীর্ঘ দুই মাস ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখার পর বৃহস্পতিবার দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে পুতিনের ভাষণ সম্প্রচারের কিছুক্ষণের মধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও অন্যান্য বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়; এবং এক ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরু হয়।

রাজশাহীর সময় /এএইচ