২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:১৪:২৯ পূর্বাহ্ন


যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতিকে সমর্থনে অযোধ্যার পুরোহিতরা !
ক্রিড়া ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৫-২০২৩
যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতিকে সমর্থনে অযোধ্যার পুরোহিতরা ! যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতিকে সমর্থনে অযোধ্যার পুরোহিতরা !


ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংয়ের ইস্তফার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালাচ্ছেন কুস্তিগীররা। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার মতো মারাত্মক অভিযোগও এনেছেন আন্দোলনরত অ্যাথলিটরা। এই আবহে ব্রিজ ভূষণের পাশে দাঁড়াতে পথে নামছে অযোধ্যার পুরোহিতদের একটি সংগঠন।

বুধবার এই ইস্যুতে মুখ খোলেন সংগঠনের অন্যতম সদস্য মোহন্ত সত্যেন্দ্র দাস। ৫ জুন ব্রিজ ভূষণের সমর্থনে অযোধ্যায় মিছিল করার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। অযোধ্যার রাম কথা পার্ক থেকে ওই মিছিল শুরু হবে। জানিয়েছেন অযোধ্যার পুরোহিত সংগঠনের সদস্যরা।

এদিন ব্রিজ ভূষণের আপ্ত সহায়ক সুভাষ সিং বলেন, “বর্ষীয়ান পুরোহিত ও মোহন্তদের ডাকে এই সভা হতে যাচ্ছে। গোটা দেশে এর প্রভাব পড়বে। হরিদ্বার, কাশী ও মথুরার মতো গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু তীর্থক্ষেত্রের মোহন্তরাও এই মিছিলে অংশ নেবেন।”

উল্লেখ্য়, ব্রিজ ভূষণের পদত্যাগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লির যন্তর-মন্তরে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন কুস্তিগীররা। গত রবিবার নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিনে সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।

কিন্তু ওই দিন আন্দোলনরত কুস্তিগীররা সংসদ ভবন অভিযান শুরু করতেই তাঁদের বাধা দেয় দিল্লি পুলিশ। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। আন্তর্জাতিক পদক প্রাপ্ত বেশ কয়েকজন কুস্তিগীরকে টেনে হিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়। যদিও পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

রবিবারের ওই ঘটনার পরই পরিস্থিতি জটিল আকার ধারন করে। মঙ্গলবার গঙ্গায় পদক বিসর্জন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন কুস্তিগীররা। গতকাল এই নিয়ে একটি টুইট করেন অলিম্পিক পদকজয়ী সাক্ষী মালিক।

নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে সাক্ষী লেখেন, “মা গঙ্গার মতো পবিত্র আর কিছু নেই। অনেক কষ্ট করে পাওয়া পদকগুলির এদেশের কাছে কোনও মূল্য নেই। তাই পবিত্র গঙ্গাতেই পদক বিসর্জন দেব আমরা।”

সাক্ষী এই টুইট করতেই গোটা দেশে শোরগোল পড়ে যায়। পদকজয়ীদের এই পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে বলেন হরিয়ানার কৃষক নেতারা। কিন্তু তাতে কান দেননি কুস্তিগীররা। মঙ্গলবার বিকেলে হরিদ্বারের হর কি পৌড়ি ঘাটে পৌঁছে যান তাঁরা। সকলের হাতেই ধরা ছিল পদক।

হরিদ্বারে পৌঁছে কান্নায় ভেঙে পড়েন বেশ কয়েকজন কুস্তিগীর। ওই সময় নরেশ টিকাইতের নেতৃত্বে সেখানে পৌঁছয় ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের একটি দল। কৃষক নেতারাই বুঝিয়ে সুঝিয়ে পদক বিসর্জনের থেকে কুস্তিগীরদের বিরত করেন।

প্রসঙ্গত, এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে পাঁচ দিন সময় দিয়েছেন আন্দোলনরত কুস্তিগীররা। এই অবস্থায় ক্রীড়া মন্ত্রক কী পদক্ষেপ করে, সেটাই এখন দেখার।