২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০১:১৩:৪৯ অপরাহ্ন


৫ নিয়ম মেনে চললে সন্তানধারণ থেকে প্রসব, সবই হবে নির্বিঘ্নে
ফারহানা জেরিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৫-২০২৩
৫ নিয়ম মেনে চললে সন্তানধারণ থেকে প্রসব, সবই হবে নির্বিঘ্নে ফাইল ফটো


মা হওয়া মুখের কথা নয়। আগত সন্তানের তো বটেই, সেই সঙ্গে হবু মায়ের শরীর এবং মনেরও যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কোনও রকম ঝুঁকি ছাড়া সুস্থ, স্বাভাবিক সন্তানের জন্ম দেওয়ার নেপথ্যে মায়ের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের বড় ভূমিকা রয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বা প্রসবকালে কোনও সমস্যা হবে কিনা, তা অনেকটাই নির্ভর করে হবু মায়ের উপর। তাই নতুন প্রাণ আনার আগে থেকে সব কিছু সুষ্ঠু ভাবে পরিকল্পনা করে রাখতে হয়।

১) প্রাথমিক নিয়মগুলি মেনে চলুন: সন্তান হবে শুনলেই বাড়ি বড়রা বলেন, ‘নিজের যত্ন নিতে’। যা সুস্থ সন্তান জন্মের একেবারে গোড়ার কথা। তবে চিকিৎসকেরা বলেন, যে দিন থেকে সন্তান আনার পরিকল্পনা শুরু করবেন, সে দিন থেকে শুরু করে সন্তান প্রসবের পর পর্যন্ত মেয়েদের নিজের শরীর এবং মনের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। সঠিক সময়ে পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম, ইতিবাচক চিন্তাভাবনার পাশাপাশি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগে ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত।

২) প্রথম থেকেই নিজের যত্ন নিন: সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে গেলে হবু মায়েদের সুস্থ থাকা জরুরি। হবু মায়েরা যদি অপুষ্টিতে ভোগেন, তা হলে সদ্যোজাতের শারীরিক সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়া অস্বাভাবিক নয়। প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করলে, তা আদতে সদ্যোজাতের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করবে।

৩) স্বাস্থ্যকর পরিবেশ: সন্তান ধারণের দীর্ঘ পর্যায়ে হবু মায়েদের এমন কোনও পরিস্থিতির মধ্যে যাওয়া উচিত নয়, যা তাঁদের মনে কোনও ভাবে আঘাত দেয়। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরও মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হলে, তার প্রভাব কিন্তু গর্ভস্থ সন্তানের উপর পড়ে।

৪) নিজের আচরণের উপর নজর রাখুন: এই সময়ে হরমোনের ক্রমাগত পরিবর্তনের ফলে মনের উপর চাপ পড়া স্বাভাবিক। যার ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে। অকারণে পরিবারের মানুষদের উপর রেগে যেতে পারেন। হঠাৎ নিজের চেহারার বদল মেনে নিতে না পারলেও অনেক সময়ে মন-মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে। এর ফলেও গর্ভস্থ ভ্রূণের ক্ষতি হতে পারে। তাই নিজের আচরণ সংযত রাখতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

৫) মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন: মা হওয়া যেমন আনন্দের, তেমন দায়িত্বেরও। জীবনে চলার পথে এই অতিরিক্ত দায়িত্ব অনেক সময়েই বাড়তি চাপের উদ্রেক করে। পরিবারের আশপাশের চাপ যে তার জন্য কমে যায়, তা নয়। সব কিছু এক সঙ্গে তাল মিলিয়ে চালাতে গিয়ে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত লাগতে পারে। তার প্রভাব কিন্তু সদ্যোজাত এবং হবু মা, কারও পক্ষেই সুখকর নয়। তাই ধ্যান, বা যোগচর্চার মাধ্যমে যতটা সম্ভব নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে।