২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০১:৫০:১০ অপরাহ্ন


ফিল্মিস্টাইলে বের হয়ে এলো স্কুলছাত্র তাজিম
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৫-২০২৩
ফিল্মিস্টাইলে বের হয়ে এলো স্কুলছাত্র তাজিম ফাইল ফটো


অপহরণকারীদের আস্তানা থেকে ফিল্মিস্টাইলে বের হয়ে এসেছে ওয়াসিক ফারহান তাজিম (১৪) নামের এক শিক্ষার্থী। সোমবার দুপুরে স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে অপহরণ হয়েছিল সে। তবে বুদ্ধিমত্তা ও কৌশল খাটিয়ে দুর্র্বৃত্তদের আস্তানা থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। তাজিম রাজধানীর সামসুল হক খান স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় তারা বাবা হুমায়ুন কবির তমাল মঙ্গলবার যাত্রাবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, স্কুল ছুটির পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মামুদপুর বাসায় ফিরছিল তাজিম। পথে সাইনবোর্ড এলাকায় ৪ দুর্র্বৃত্ত তাকে জোপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে চোখ বেঁধে ফেলে। এ সময় তাদের সবার মুখে মাস্ক পরা ছিল। পরে তাজিমকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নেওয়া হয়। সেখানে একটি চেয়ারে বসিয়ে তার হাত ও কোমর বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর চারজনের মধ্যে দু’জন বাইরে চলে যায়। অন্য দু’জন দরজার পাশে অবস্থান করছিল। তাজিমের পাশে একটি টেবিলে ছিল কয়েকটি ছুরি ও লাঠি। সে মুখ দিয়ে কৌশলে ছুরি নিয়ে বাঁধন কেটে ফেলে। পরে দুজনকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং কিল ঘুষি মেরে বের হয়ে আসে। সেখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দৌড়ে এক জায়গায় এসে একটি যাত্রীবাহী পরিবহনে উঠে পরে। তবে পরিত্যক্ত জায়গাটি কোথায় তা বলতে পারছে না তাজিম।

গাড়িতে চোখ বাঁধার সময় দুর্বৃত্তরা একজন অপরজনকে বলছিল, এটাই তাদের শেষ অপারেশন। শিক্ষার্থীকে চালান করে দিয়ে আজই তারা গ্রামে চলে যাবে। মাইক্রোবাসে তোলার পর শিশুটি বলেছিল-আমি গরিব ঘরের সন্তান। আমার বাবার টাকা নেই। এ সময় অপহরণকারীদের একজন বলে চুপ কর। আমরা কি টাকা চেয়েছি?

শিশুটির বাবা আজকের পত্রিকার সাংবাদিক হুমায়ুন কবির তমাল যুগান্তরকে বলেন, স্কুলের ইউনিফর্ম পড়া একটি শিশুকে এভাবে ছোঁ মেরে নিয়ে যেতে পারে তা কল্পনাতীত। বুদ্ধি ও সাহস না দিলে সে হয়তো ফিরে আসতে পারত না। এ কারণে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। ছেলেটি এখনো স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছে না। ঘটনা তদন্ত করে অপহরণে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।

যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম বলেন, অভিযোগ পেয়েই ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করছি।

ওই থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুল আলম বলেন, শিশুটির বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অপহরণকারীদের ধরতে আমরা কাজ করছি।