১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:০১:৩৭ অপরাহ্ন


যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আমদানির চেয়ে রপ্তানি সাড়ে তিনগুণ বেশি
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৫-২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আমদানির চেয়ে রপ্তানি সাড়ে তিনগুণ বেশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আমদানির চেয়ে রপ্তানি সাড়ে তিনগুণ বেশি


যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়ছে বেশি, আমদানি বাড়ছে কম। ফলে বাণিজ্য পরিস্থিতি বাংলাদেশে অনুকূলে থাকার প্রবণতাও বাড়ছে।

বর্তমানে আমদানির চেয়ে সাড়ে তিন গুণ বেশি পণ্য বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হয়, যা মোট রপ্তানির ১৯ শতাংশ।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি যাচ্ছে তৈরি পোশাক। মোট আমদানির মাত্র ৩ দশমিক ৭ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত অর্থবছর বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৮৩ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে, যা দেশের মোট আমদানির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। একই অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৭৪০ কোটি ডলারের পণ্য।

এটা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ১৯ দশমিক ২ শতাংশ। ওই অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানির চেয়ে বাংলাদেশ ৪৫৭ কোটি ডলারের পণ্য বেশি রপ্তানি করেছে। গত অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে খনিজ পণ্য, জ্বালানি উপকরণ, বিটুমিন, আয়রন, স্টিল, তৈলবীজ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, সুতা, ওষুধ পরমাণু উপকরণ।

এ ছাড়া শিল্পের যন্ত্রপাতি, রেলওয়ে সামগ্রী, ইলেক্ট্রনিক ও ফটোগ্রাফিক উপকরণ, রাসায়নিক পণ্য, জাহাজ, আধুনিক নৌকা ও জৈব পণ্যও আমদানি হচ্ছে । এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি হচ্ছে খনিজ পণ্য।

এর বিপরীতে দেশটিতে বাংলাদেশ রপ্তানি করছে তৈরি পোশাক, হিমায়িত খাদ্য, পাটজাত পণ্য, চামড়া ইত্যাদি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় তৈরি পোশাক।

৬৯০ কোটি ডলার আয় হয়েছে পোশাক রপ্তানি থেকে। এ ছাড়া হিমায়িত খাদ্য ৪ কোটি ডলার, হোম টেক্সটাইল ৬ কোটি ডলার, পাটজাত পণ্য ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার, চামড়াজাত পণ্য ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার, হস্তজাত পণ্য ৬০ লাখ ডলার ও অন্যান্য পণ্যে ২৭ কোটি ডলার আয় হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মোট রপ্তানির মধ্যে ৮৮ শতাংশই তৈরি পোশাক। বাকি ১২ শতাংশ অন্যান্য পণ্য।

চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হয়েছে ৪৬১ কোটি ডলারের পণ্য। এর বিপরীতে আমদানি করা হয়েছে ১৩১ কোটি ডলারের পণ্য। ওই সময়ে বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত হয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার। অর্থাৎ ওই সময়ে আমদানির সাড়ে তিনগুণ বেশি পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে ২২৭ কোটি ডলারের পণ্য, যা দেশের মোট আমদানির ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। এর বিপরীতে ওই অর্থবছরে রপ্তানি করা হয়েছে ৪৯৫ কোটি ডলারের পণ্য, যা মোট রপ্তানির সাড়ে ১৬ শতাংশ।

২০১৯-২০ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ২২৬ কোটি ডলারের পণ্য, যা দেশের মোট আমদানির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এর বিপরীতে ওই অর্থবছরে রপ্তানি করা হয়েছে ৩৯৮ কোটি ডলারের পণ্য, যা মোট রপ্তানির ১৫ দশমিক ১ শতাংশ।

প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের আমদানির হার কমছে। এর বিপরীতে রপ্তানির হার বাড়ছে।

গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত ছিল ১৭২ কোটি ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে তা আরও বেড়ে উদ্বৃত্তের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৬৮ কোটি ডলার।

গত ২০২১-২২ অর্থবছরে তা ৪৫৭ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে বাণিজ্যে উদ্বৃত্তের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার।