১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৮:৫৩:০৮ অপরাহ্ন


নতুন প্রজাতি’ উড়ন্ত টিকটিকির খোঁজ মিলল মিজোরামে
তুরজিম তানজিম :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৫-২০২৩
নতুন প্রজাতি’ উড়ন্ত টিকটিকির খোঁজ মিলল মিজোরামে নতুন প্রজাতি’ উড়ন্ত টিকটিকির খোঁজ মিলল মিজোরামে


ইন্দো-বর্মা বর্ডারের কাছে মিজোরামের জঙ্গলে এবার সন্ধান মিলল নতুন প্রজাতির গেকোর। যারা নাকি উড়তেও পারে ! এমনই খবর জানালেন মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজির একদল গবেষক।

তাঁরা এর নাম দিয়েছেন ‘প্যারাসুট গেকো’। বস্তুত, গেকো হল একজাতের টিকটিকি-গোত্রের সরীসৃপ। এরা মাংসাশী, সাধারণত সারা পৃথিবী জুড়েই গরম জলবায়ু অঞ্চলে এদের দেখা মেলে। এদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল, মিলনের সময় এলেই এরা এক অদ্ভুত আওয়াজ বের করে।

নতুন এই গেকো প্রজাতির নাম দেওয়া হয়েছে ‘গেকো মিজোরামেনসিস’। সরীসৃপবিদ্যা বিষয়ক নামী জার্মান পত্রিকা ‘স্যালামান্ডার’-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দলের মুখ্য, মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মার লোংতে লালরেমসাঙ্গা বলেন, ‘এই ধরণের উড্ডুক্কু গেকো হল আদতে ‘টাইকোজুন’ নামক এক গেকো প্রজাতির উপপ্রজাতি বা ‘সাব-জিনাস’। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম, এরা হয়ত জ্ঞাত উপপ্রজাতিদেরই একটি। কিন্তু বিভিন্ন এলাকা থেকে এদের কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ করে শেষে ডিএনএ পরীক্ষা করে আমরা জানতে পারি, এরা নতুন এক প্রজাতি’।

এই জাতের গেকোরা মূলত গাছে থাকে। দৈর্ঘ্যে ২০ সেন্টিমিটার, এক গাছ থেকে আরেক গাছে উড়ে বা ‘গ্লাইড’ করে যেতে পারে। এরা নিশাচরও বটে। এদের মাঝেমধ্যে জনবহুল জায়গাতেও দেখা যায়, মুখ্যত বহুতলের বাইরের দেওয়ালে বাসা করে। গবেষকরা জানিয়েছেন, মিজো জনতার মধ্যে এদের নিয়ে নানা কুসংস্কার আছে, যাতে এদের আরও বিপদের মুখেই ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এসব কুসংস্কার আদপেই ঠিক নয়।