২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:১০:০৬ পূর্বাহ্ন


জেলা স্টেডিয়ামে ঝুলবে না তালা
ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৫-২০২৩
জেলা স্টেডিয়ামে ঝুলবে না তালা ফাইল ফটো


মেলা, কনসার্ট, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কারণে প্রায়ই আলোচনায় থাকে জেলা স্টেডিয়ামগুলো। এসব অনুষ্ঠানের কারণে প্রায়ই বন্ধ রাখতে হয় জেলার বিভিন্ন খেলাধুলা। শুধু তাই নয়, দিনের বেলায় বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ থাকে স্টেডিয়ামের গেট। তালা ঝোলার কারণে বিকেলে মাঠে গিয়ে খেলতে না পারায় অনেক ছেলেমেয়ে বাজে নেশায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছে।

যে কারণে ৯ বছর আগে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছিলেন খেলার মাঠে অন্য কিছু যেন না হয়। জেলার স্টেডিয়ামগুলোতে শুধু খেলাধুলাই করবে ছেলেমেয়েরা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে দেশের ৬৪টি জেলার ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি (ডিসি) বরাবর চিঠি দিয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনা মানেননি জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা।

স্টেডিয়ামে খেলার পরিবর্তে মেলা, কনসার্ট, নানা আয়োজন হয়ে আসছে। যে কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে সোমবার নতুন করে আবারও ডিসিদের চিঠি পাঠিয়েছে এনএসসি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া) এস এম শাহ হাবিবুর রহমান হাকিম স্বাক্ষরিত চিঠিতে লেখা আছে, ‘সকল স্টেডিয়ামসমূহে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছাড়া অন্য কোন কার্যক্রম যেমন– মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কনসার্ট ইত্যাদি আয়োজন না করাই ভাল হবে।’

এর সঙ্গে মৌখিকভাবে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে করে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে স্টেডিয়াম খুলে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে ডিসিদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে চিঠি পেয়ে যাবেন স্টেডিয়ামের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

এ নিয়ে তৃতীয়বার জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও পরিস্থিতি বদলায়নি। এনএসসির কর্তাদের বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবার মানবেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা। হাউজি, কনসার্ট, মেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন করা যাবে না, তেমনি করে বিশেষ দিন ছাড়া প্রতিদিন স্টেডিয়ামের গেট খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানান হাকিম।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে মৌখিকভাবে একটা অর্ডার এসেছে, আমাদের জেলার যে স্টেডিয়ামগুলো আছে, সেগুলোতে শুধু ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর ছাড়া অন্য দিনগুলোতে পুরো বছরই খোলা থাকবে। মানে হলো, স্টেডিয়ামের গেট বন্ধ রাখা যাবে না। একটা নির্দিষ্ট সময় প্রতিদিনই গেটগুলো খোলা রাখতে হবে, যাতে করে ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করতে পারে।’

দেখা গেল, গেট খোলা রাখার কারণে সেখানে মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হতে পারে। এ জন্য স্টেডিয়ামের যে কমিটি আছে, তারাই ব্যবস্থা নেবে বলে জানান হাকিম, ‘না না, এটা হবে না। কারণ, ওখানে যাঁরা গেট খুলবেন ও বন্ধ করবেন, তাঁরাই সবকিছু দেখভাল করবেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা আছেন, জেলা প্রশাসক আছেন, কমিটি আছে। স্টেডিয়াম বানানো তো হয় ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার জন্য। সেখানে মদ, গাঁজা, হেরোইন বা অন্য কাজের জন্য তো স্টেডিয়াম করা হয়নি। এগুলো স্ব-স্ব জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যক্তিরা দেখবেন।’