২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০১:৩৩:৩৯ অপরাহ্ন


কাফনের কাপড় পাঠানোর ঘটনায় রুয়েটের ৪ কর্মকর্তাকে আদালতে তলব
স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৫-২০২৩
কাফনের কাপড় পাঠানোর ঘটনায় রুয়েটের  ৪ কর্মকর্তাকে আদালতে তলব কাফনের কাপড় পাঠানোর ঘটনায় রুয়েটের ৪ কর্মকর্তাকে আদালতে তলব


রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষক সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে কাফনের কাপড় পাঠানোর ঘটনায় চার কর্মকর্তাকে আদালতে তলব করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ চার কর্মকর্তার নমুনা সই/লেখা সংগ্রহ করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৯ মে) তাদের আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম সই করা ওই আদেশে বলা হয়েছে, জিডি তদন্ত, সত্যতা যাচাই করার প্রয়োজনে বিতর্কিত ব্যক্তি রুয়েটের পরিষদ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার শাহ মো. আল বেরুনী ফারুক, নির্বাহী প্রকৌশলী মোতাহার হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব ও সিনিয়র সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. কামাল হোসেন ইতির সই/লেখা সংগ্রহ করা এবং হাতের লেখা পরীক্ষার জন্য আদালতে হাজির হতে আবেদন করা হয়েছে। জিডি সংক্রান্তে সঠিক তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তার দাখিলি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখিত ব্যক্তিদের নমুনা সই/লেখা সংগ্রহ করতে ৯ মে আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

গত ৬ ডিসেম্বর রুয়েট শিক্ষক সমিতি ও শুদ্ধাচার কমিটির সদস্যরা কয়েকজন কর্মকর্তাকে নির্ধারিত সময়ে অফিসে হাজির না হওয়া ও প্রায়ই অফিসে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। এদের মধ্যে রুয়েটের পরিষদ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার শাহ মো. আলবেরুনী ফারুকও ছিলেন। ওইদিন দুপুরে তিনি শুদ্ধাচার কমিটি ও শিক্ষক সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে বাগবিতণ্ডায় জড়ান এবং তাদের দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন।

এরপর গত ২১ ডিসেম্বর রুয়েটের ৯ শিক্ষক-কর্মকর্তার নামে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে চিঠি আসে। চিঠিতে প্রেরকের ঠিকানায় ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’ উল্লেখ ছিল। চিঠি খুললে এর ভেতরে সাদা কাফনের দুটি করে টুকরা পান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষক-কর্মকর্তা।

হুমকি পাওয়া একাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তার সন্দেহ, এ ঘটনায় শাহ মো. আল বেরুনী ফারুক, মোতাহার হোসেনসহ তাদের সহযোগীরা জড়িত থাকতে পারেন। তবে আল বেরুনী ফারুক এমন অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।

কাফনের কাপড়ের মাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকিপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সেখ, গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের পরিচালক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুক হোসেন, রুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. রবিউল আওয়াল, শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মিয়া জগলুল সাদত, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেন, কম্পট্রোলার নাজিম উদ্দিন আহম্মদ, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ, সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ ও সেকশন অফিসার প্রকৌশলী রাইসুল ইসলাম রোজ।

চিঠিতে সাদা কাপটের টুকরা পাওয়ার ঘটনায় ওইদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেন মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরি (ডিজি)। জিডি নম্বর ১১৬০।

আদালতে তলবের বিষয়ে জানতে চাইলে রুয়েটের পরিষদ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার শাহ মো. আল বেরুনী ফারুক বলেন, ‘৯ শিক্ষক-কর্মকর্তার কাছে ডাকযোগে চিঠির খামের মধ্যে সাদা কাগজ পাঠানো হয়েছিল। ওই ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। সেখানে আমাদের বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। হয়তো ওই চিঠির খামের ওপরে হাতের লেখা মেলানোর জন্য আমাদের আদালতে ডাকা হয়েছে। আমরা সেখানে অবশ্যই যাবো।’

কামাল হোসেন ইতি বলেন, ‘আমাকে আসলে কেন আদালতে ডাকা হয়েছে তা বোধগম্য নয়। আমার আগের কিছু পারিবারিক বিষয় ছিল। যেগুলো চাকরির ক্ষেত্রে প্রয়োগ হতে পারে না।’