২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৮:০৯:৩১ অপরাহ্ন


‘গ্রিন সিটি ও ক্লিন সিটি উপহার দিয়েছেন,এবার শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান দেবেন মেয়র লিটন
আবু হেনা :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৫-২০২৩
‘গ্রিন সিটি ও ক্লিন সিটি উপহার দিয়েছেন,এবার শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান দেবেন মেয়র লিটন ‘গ্রিন সিটি ও ক্লিন সিটি উপহার দিয়েছেন,এবার শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান দেবেন মেয়র লিটন


‘রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীকে বদলে দিয়ে উন্নয়ন দেখিয়ে দিয়েছেন। গ্রিন সিটি ও ক্লিন সিটি রাজশাহী উপহার দিয়েছেন, এবার তিনি শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান দেবেন।’

বুধবার (০৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নগর ভবনের এ্যানেক্স সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাজশাহীর ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। সভায় রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, বাজার ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

সভায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের বিকল্প নেই। রাজশাহীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার দৃশ্যমান পরিবর্তন ঘটেছে। এবার প্রয়োজন রেল, নৌ ও বিমান যোগাযোগের উন্নতি। এক্ষেত্রে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আগামীতে বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করবেন বলে আমরা আশাবাদী। আমরা সকল ব্যবসায়ী জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে অতীতের ন্যায় আগামীতেও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব।’

মতবিনিময় রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আমি ভারতের মুর্শিবাদের ধূলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ হয়ে রাজশাহী হয়ে আরিচা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে নৌরুট চালুর কাজের অনেক দূর অগ্রগতি করতে পেরেছি। নৌ পথ ও নৌবন্দর চালু করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। এটি চালু হলে উভয় দেশের পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করা যাবে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।

সিটি মেয়র আরো বলেন, রাজশাহীর বিমানবন্দরের উন্নয়ন ও কার্গো বিমান চালুর দাবি উঠেছে। আপনারা হয়তো জানেন, ইতোমধ্যে বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণে টেন্ডার হয়েছে। একটি দ্বিতল টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করা হবে। আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগ চালু করতে কাস্টমস এর ব্যবস্থা রাখতে হবে। অনেক কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। আশা করছি পর্যায়ক্রমে এসব বাস্তবায়ন হবে।

রাসিক মেয়র আরো বলেন, নগরীর কাঁচাবাজারগুলোর উন্নয়ন করা হবে। তিনটি কাচাবাজার নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করেছি। আরেকটি টেন্ডার হওয়ার অপেক্ষায় আছে। শিরোইল ও লক্ষ্মীপুর কাঁবাজারের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য আধুনিক স্লটার হাউজ নির্মাণ করা হবে। কৃষি ভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে তোলার দাবি করেছেন অনেক। আপনারা জানেন বিসিক শিল্পনগরী-২ এর কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে কৃষি ভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে তোলার চেষ্টা করবো। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন। তাহলে আমি অনেক কাজ করতে পারবো।

রাসিক মেয়র বলেন, আগামীতে রাজশাহী সিটির সীমানা বর্ধিত করা হবে। সীমানা বৃদ্ধির প্রস্তাব ইতোমধ্যে দিয়েছি। আগামীতে বিজয়ী হলে এসব কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

সভায় রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন,  মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীর উন্নয়ন দেখিয়ে দিয়েছেন। রাজশাহীকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন। এবার তিনি কর্মসংস্থান দেবেন। শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আমরা মেয়র মহোদয়ের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করে যাব।’

আরডিএ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফরিদ মামুদ হাসান বলেন, বর্তমানে রাজশাহীর যে উন্নয়নের ধারা দেখছি, স্বাধীনতার পরে এমন উন্নয়ন আমরা দেখিনি। এখন রাজশাহীতে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। এজন্য শাহ মখদুম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে। কার্গো বিমান চালু করতে হবে। টেক্সটাইল, জুট মিল, সুগার মিল সহ বন্ধ হয়ে থাকা কলকারাখান চালু করতে হবে। এগুলো চালু করতে আমরা সিটি মেয়রের সাথে আছি।

বাংলাদেশ রেশম শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী বলেন, রাজশাহীকে বদলে দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেটি করে দেখিয়েছেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। এবার ট্রেন, নৌ ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান বাড়বে।

রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটু বলেন,  সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি উপহার দিয়েছেন, এবার তিনি কর্মসংস্থান দেবেন। কর্মসংস্থান দেওয়ার এই কাজে আমরা তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবো।

রাজশাহী ইউমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রোজেটি নাজনীন বলেন, ‘মেয়র যত উন্নয়ন করেছেন, আমার জীবনে ৬৫ বছরে এমন উন্নয়ন দেখিনি। এখন সব উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধা পাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি আগামীতে আরো উন্নয়ন দেখতে পাব।’

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, এফবিসিসিআই এর পরিচালক শামসুজ্জামান আওয়াল, রাজশাহী চেম্বারের সাবেক সভাপতি হারুন অর রশীদ, রাজশাহী রিয়েল এস্টেট এন্ড ডেভেলপার্স এসোসিয়শনের সভাপতি তৌফিক রহমান লাভলু সহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।