২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ১০:৩৩:১৫ অপরাহ্ন


বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত জেলিফিশের খোঁজ মিললো চিনে, প্রা নিটির ২৪টা চোখ !
তুরজিন তানজিম :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৪-২০২৩
বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত জেলিফিশের খোঁজ মিললো চিনে, প্রা নিটির ২৪টা চোখ ! বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত জেলিফিশের খোঁজ মিললো চিনে, প্রা নিটির ২৪টা চোখ !


বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত জেলিফিশের প্রজাতির খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। বড় বড় চোখ মেলে শরীরের শুঁড়গুলো বাগিয়ে শিকার ধরে। সাধারণ জেলিফিশের চেয়ে এরা অনেকটাই আলাদা। এর রয়েছে  ২৪ টি চোখ। জোর করে এদের ধরতে গেলে বিষের জ্বালায় আকুলিবিকুলি করতে হবে।

হংকংয়ের মাই পো নেচার রিজার্ভ, এই জেলিফিশের নাম দিয়েছে ট্রাইপেডালিয়া মায়পোয়েনসিস। চলতি ভাষায় নাম বক্স জেলিফিশ। এদের ২৪টা চোখ। অসংখ্য শুঁড়। একটি পুকুরে এই জেলিফিশের খোঁজ মিলেছিল।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই পুকুরে প্রচুর মাছ চাষ হয়। জালে ওই জেলিফিশও ধরা পড়ে। সেটিকে দেখে অন্যরকম লাগে জেলেদের। সেখান থেকে ওই জেলিফিশ সংগ্রহ করেন হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জেলিফিশের ২৪টি চোখ চারটি ভাগে ভাগ করা রয়েছে। এক একটি ভাগে রয়েছে ছ’টি চোখ। একটি ভাগের ছ’টি চোখের মধ্যে দু’টিতে রয়েছে লেন্স। বাকি চারটি আলোক সংবেদী। বিজ্ঞানীরা বলছেন, অন্য জেলিফিশের তুলনায় এই বক্স জেলিফিশ অনেক দ্রুত সাঁতার কাটে।

ট্রাইপেডালিয়া মায়পোয়েনসিসের দৈর্ঘ্য ১.৫ সেন্টিমিটার। পুুকুরে এরা ছোট মাছ, চিংড়ি ধরে খায়। দেখা গেছে, চিংড়িকে বৈদ্যুতিক শক দিতে পারে এই জেলিফিশ। তবে মানুষের সংস্পর্শে এলে কতটা ক্ষতি করতে পারে তা এখনও জানা যায়নি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের শরীরের জন্য খুবই বিষাক্ত হতে পারে এই জেলিফিশ। সংস্পর্শে এলে ঘা, সংক্রমণ হতে পারে।

জেলিফিশরা বরাবরই চমকে দেয় বিজ্ঞানীদের। টারিটোপসিস ডোরনি নামে এক ধরনের জেলিফিশের খোঁজ মিলেছিল যাদের বলা হয় ‘অমর জেলিফিশ’ । মৃত্যুর কোনওরকম আশঙ্কা থাকলে, এর বার্ধক্যের উল্টো পথ ধরে। দেখা গেছে, যদি এই জেলিফিশের শরীরের কোনও অংশে আঘাত লাগে, বা অসুস্থ হয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে এরা ‘পলিপ দশা’-এ চলে যায়। অর্থাৎ আবার শৈশবে ফিরে যায়। চারপাশে মিউকাস মেমব্রেন তৈরি করে গুটি বাঁধে পলিপের আকারে। এই পলিপ অবস্থায় এরা তিন দিন পর্যন্ত থাকে। আর এ ভাবেই কমিয়ে দেয় বয়স। কীভাবে শরীরের কোষের রূপান্তর ঘটিয়ে এরা বয়স কমিয়ে ফেলে সেটাই সবচেয়ে আশ্চর্যের। এই ব্যাপারটা নিয়ে বিশ্বজুড়েই গবেষণা চলছে।