রাজশাহীর দুর্গাপুরে আব্দুল জলিল (৪২) নামের এক ব্যবসায়ীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে। এএসআই কামাল হোসেন দুর্গাপুর থানায় কর্মরত আছেন।
মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংকের সামনে রাফি ইলেকট্রিকে এই ঘটনা ঘটেছে। ওই দিন সন্ধ্যার দিকে ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল অভিযুক্ত এএসআইয়ের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে গেলেও পুলিশ পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর লিখিত অভিযোগ নেননি থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা। উল্টো বিষয়টি ধামাচাপা দিতে হুমকী-ধামকী দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল বলেন, দুর্গাপুর থানার এএসআই কামাল হোসেন সোমবার দুপুরে একটি টেবিল ফ্যান ঠিক করার জন্য থানায় যেতে খবর দেন তাঁকে। কিন্তু কাজের প্রচন্ড ব্যাস্ততা থাকায় তিনি থানায় যেতে পারেননি। পরে এএসআই কামাল হোসেন তাঁর দোকানে টেবিল ফ্যানটি মেরামতের জন্য রেখে যান।
আব্দুল জলিল আরো বলেন, দোকানে আগের কিছু কাজ জমে থাকায় ও গত কয়েকদিনের অব্যাহত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে দোকানে সময়মতো তিনি কাজ শেষ করতে পারেননি। এমনকি এএসআই কামালের ফ্যান মেরামত করে সময়মতো ফেরত দিতেও পারেননি।
ব্যবসায়ী জলিল অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে এএসআই কামাল মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁর দোকানের সামনে এসে থামে। মোটরসাইকেল থেকে নেমেই ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে দোকান থেকেই পাইপ নিয়ে তাঁকে মারধোর শুরু করেন। এতে তাঁর হাতের বিভিন্ন জায়গায় ফোলা জখম হয়।
এদিকে, ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলের অভিযোগের সত্যতা জানতে আশেপাশের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে ও দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজ দেখে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হলে দুর্গাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেনের সাথে কথা বলতে তাঁর ব্যাক্তিগত মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, আমি বাসায় আছি পরে কথা হবে বলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে একাধিকার তাঁর মুঠোফোনে কল করা হলেও তাঁর সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হকের সাথে কথা বলতে চাইলেও সম্ভব হয়নি।