শাবানা আজমি সম্প্রতি জানালেন মিঠুন চক্রবর্তী নাকি তাঁর গায়ের রঙের জন্য ভীষণ রকম কমপ্লেক্সে ভুগতেন। একই সঙ্গে তিনি তাঁর দাঁতের গঠন নিয়েও অস্বস্তিবোধ বলে কখনই সবার সামনে মুখ খুলে হাসতেন না। লজ্জা পেতেন। শাবানা একই সঙ্গে জানান তাঁর বাবা মা একসময় শহর আসা প্রতিভাবান নতুন অভিনেতাদের সাহায্য করতেন কেরিয়ার গড়ে তুলতে। তখন তাঁর মা শওকত কাইফি নাকি মিঠুনকে সাহায্য করেছিলেন তাঁর এই কমপ্লেক্স ঝেড়ে ফেলতে আত্মবিশ্বাসী বানাতে।
১৯৭৬ সালে মৃগয়া ছবির হাত ধরে ডেবিউ সেরেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। এই ছবির জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার পান। এরপর অবশ্য তিনি খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছন ডিস্কো ড্যান্সার ছবির হাত ধরে। এরপর তাঁকে ওয়ার্দাত, বক্সার, অগ্নিপথ, ইত্যাদি ছবিতে দেখা গিয়েছিল। ২০০০ সালের পর থেকে মিঠুন তাঁর চরিত্র বাছাইয়ের মধ্যে বদল আনেন। এরপর থেকে তাঁকে খুব কম সংখ্যক ছবিতে দেখাবজায়। তাঁকে সম্প্রতি হিন্দি ছবিতে বিবেক অগ্নিহোত্রীর দ্য কাশ্মীর ফাইলসে দেখা গিয়েছিল। অন্যদিকে বাংলায় তাঁর প্রজাপতি দাপিয়ে ব্যবসা করে বক্স অফিসে।
সিএনএনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, 'জনকী কুটির বহু উঠতি তারকা থেকে নতুন অভিনেতা, স্ট্রাগলারদের জায়গা ছিল। তাঁরা সেখানে সবসময় আসতেন মা বাবার সঙ্গে কথা বলতেন। ওঁরা ওঁদের উৎসাহ দিতেন। আমি যখন পড়াশোনা করতাম আমার এমন অনেক বন্ধুরা আমাদের বাড়িতে এসে থাকত যাঁদের সঙ্গে বলিউডের কোনও যোগাযোগ নেই। জারিনা ওয়াহাব থেকে কানওয়ালজিৎ সিং, অনেকেই আসতেন আমাদের বাড়িতে।'
'তবে মিঠুন তার গায়ের রং এবং দাঁতের শেপ নিয়ে সচেতন থাকত। কমপ্লেক্সে ভুগত। ও কখনই মুখ খুলে হাসত না এই জন্য। এরপর সে যখন এখানে আসত, কাজ করত ইনস্টিটিউটে তখন ওর মধ্যে থাকা সব কমপ্লেক্সে, ইনসিকিউরিটি চলে গিয়েছিল। আমার মা ওকে খুব উৎসাহ দিত।'
গতবছর মিঠুন জানিয়েছিলেন তাঁর কেরিয়ারের শুরুর দিকে তিনি নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তিনি তাই চান না কেউ তাঁর বায়োপিক বানান। এমনটা তিনি সারেগামাপা লিটিল চ্যাম্পে এসে বলেছিলেন।
আগামীতে অভিনেতাকে কাবুলিওয়ালার চরিত্রে দেখা যেতে চলেছে। জিও স্টুডিওজের প্রযোজনায় এবং সুমন ঘোষের পরিচালনায় এই ছবি মুক্তি পেতে চলেছে চলতি বছরের শীতে। এই ছবির কিছু অংশের শ্যুটিং আফগানিস্তানে হবে। তবে মিনির চরিত্রে এখানে কাকে দেখা যাবে সেটা এখনও জানা যায়নি।