২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০৯:৩৮:৪৬ অপরাহ্ন


'স্বামীর অত্যাচারে সমকামী বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে ববি ডার্লিং
নৌসিম তাবাস্সুম ঝিলিক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৪-২০২৩
'স্বামীর অত্যাচারে সমকামী বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে ববি ডার্লিং 'স্বামীর অত্যাচারে সমকামী বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে ববি ডার্লিং


অস্ত্রোপচারের সাহায্যে লিঙ্গ বদলে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন ববি ডার্লিং। ২০১৫ সালে শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে নারীতে রূপান্তরিত হওয়ার পর তাঁর নাম হয়েছিল পাখি শর্মা। তিনি ভোপালের গায়েত্রী মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন ব্যবসায়ী রামনিক শর্মাকে। এবার সমকামী বিয়ের স্বীকৃতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ববি। ববি তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন, তাঁদের বিয়ে আইনিভাবে নিবন্ধিত হলেও তাঁর স্বামী নাকি পূর্ব লিঙ্গ নিয়ে বিভিন্ন আপত্তি তোলেন, তাঁর উপর অত্যাচার করেন।

সমকামী বিয়ে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাওয়া প্রসঙ্গে ববির বক্তব্য এই ধরনের বিষয় ব্যক্তির স্বাধীন ইচ্ছার সঙ্গে সম্পর্কিত। এর আগেও এধরনের বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উদাহরণ রয়েছে। আর সেকারণেই রূপান্তরকামী এই অভিনেত্রী সমকামী বিয়ে নিয়ে আইনি স্বীকৃতি চেয়ে পিটিশন দাখিল করে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। ১৮ এপ্রিল থেকে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হবে।

পাখি শর্মা ওরফে ববি ডার্লিং-এর আইনজীবী মীরা কউর বলেন, এধরনের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীই হন সর্বোত্তম ব্যক্তি। সম লিঙ্গ/তৃতীয় লিঙ্গের বিয়ের ক্ষেত্রে সম্পর্কের অংশীদাররা, বহু বছর ধরে একসঙ্গে বসবাস করা সত্ত্বেও, কোনও আনুষ্ঠানিক, কিংবা আইনি স্বীকৃতি পান না। পাখি শর্মা ওরফে ববি ডার্লিং এই আবেদন জমা দিয়েছেন আর্থিক স্থিতিশীলতা, সমাজের স্বীকৃতি সহ আরও বেশকিছু উদ্দেশ্য নিয়ে। যেমন, ভরণপোষণ, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদির জন্য সময়ের প্রয়োজনে সমলিঙ্গের বিয়ের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। যাতে এই ধরনের দম্পতিরা, বিয়ে মর্যাদা, নিশ্চয়তা এবং আইনের সামনে সমান সুরক্ষার নিয়ে জীবনযাপন করতে পারেন।

প্রসঙ্গত ২০১৫ সালে ব্যবসায়ী রামনিক শর্মাকে বিয়ে করার তিন বছরের মাথায় তাঁর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ করেছিলেন ববি। জানিয়েছিলেন, মদ্যপান করে রামনিক পণের দাবিতে তাঁর উপর অত্যাচার করেন। রাখ ২০১৮তে রাখির অভিযোগের ভিত্তিতে রামনিক শর্মাকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ।