১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:২২:০৫ অপরাহ্ন


রাজশাহীতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৪-২০২৩
রাজশাহীতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার রাজশাহীতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার


রাজশাহীতে ঈদ সামনে রেখে জমে উঠছে পোশাকের বেচাকেনা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, এবার দাম বেশি। এদিকে পোশাকের দাম চড়া স্বীকার করে বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব পড়েছে।

প্রথম দশ রোজা পর্যন্ত রাজশাহীর সাহেববাজার আরডিএ মার্কেটে ঈদের পোশাকের বেচাকেনা একেবারেই ঢিলেঢালা ছিল। এরপর থেকে বাজারে ক্রেতা সমাগম আর বেচাকেনা দুটোই বেড়েছে। 

এ বছর নগরীর বিপণিবিতানগুলোতে জায়গা করে নিয়েছে নারীদের নায়রা, সারারা ও গারানায়রারা নামের পোশাক। এ ছাড়া থ্রিপিস, ফ্রকের পাশাপাশি নারীরা কিনছেন শাড়ি। 

এক নারী ক্রেতা বলেন, নতুন যে সব কালেকশন এসেছে, মূলত সেগুলোই কিনতে চাচ্ছি। মার্কেটে নায়রা, সারারা ধরনের পোশাক বেশি এসেছে। তার মধ্যে যেটি পছন্দ হবে সেটিই কিনব। তবে দাম তুলনামূলক বেশি।

 অন্যদিকে বিক্রি ভালো হওয়ার কথা ‍উল্লেখ করে বিক্রেতারা জানান, নারীদের মধ্যে নায়রা ও সারারা ড্রেসের চাহিদা বেশি।

 আর বরাবরের মতো ঈদে পুরুষের পছন্দ পাঞ্জাবি, জিন্স প্যান্ট, শার্ট ও টি শার্ট। তবে পোশাকের দাম বেশ চড়া বলছেন ক্রেতারা। গত ঈদের তুলনায় পোশাকের দাম বেশি হওয়ার কথা ‍উল্লেখ করে এক ক্রেতা বলেন, বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। তাদের পছন্দ মোতাবেক শার্ট-প্যাট ও পাঞ্জাবি কিনব। নিজের জন্য হয়তো পাঞ্জাবি কিনব। তবে দোকানিরা যে দাম চাচ্ছেন, তা সাধারণ সময়ের তুলনায় ২/৩ গুণ বেশি। 

অবশ্য বিক্রেতারা জানান, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেশি দামে পোশাক কিনতে হচ্ছে বলেই দাম বেশি। এক বিক্রেতা বলেন, প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বেশি হওয়ার কারণে আমাদের সবকিছু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, নায়রা, সারারা ও গারারা পোশাক সর্বনিম্ন আড়াই হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাঞ্জাবি দেড় হাজার থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।