২৯ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৪:২৬:০১ অপরাহ্ন


যুবকের শক্তি নিয়ে ঈদের পর আন্দোলনে নামবে জয়নাল আবেদীন ফারুক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৪-২০২৩
যুবকের শক্তি নিয়ে ঈদের পর আন্দোলনে নামবে জয়নাল আবেদীন ফারুক যুবকের শক্তি নিয়ে ঈদের পর আন্দোলনে নামবে জয়নাল আবেদীন ফারুক


সরকার পতনের আন্দোলনে আগামী ঈদের পর যুবকের শক্তি নিয়ে মাঠে নামবে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাসহ আওয়ামীলীগের নেতারা পালানের মতো স্টেশন খুঁজে পাবে না। ঈদের পর ৪০ বছরের যুবকের শক্তি নিয়ে আন্দোলনের মাঠে নামবে ৭২ বছরের জয়নাল আবেদীন ফারুক।স্থানীয় সময় সোমবার (১০ এপ্রিল) জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্তোরার পার্টি হলে অনুষ্ঠিত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টনকে সদস্য নির্বাচিত করায় বৃহত্তর চট্রগাম জাতীয়তাবাদী ফোরাম যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া সবংর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষনে ফারুক এ্সব কথা বলেন।  

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার মতো বুদ্ধিমান লোক দুনিয়ায় পাওয়া কঠিন। আওয়ামীলীগ তারেক রহমানের ভয়ে ভীত। তিনি অবশ্যই বাংলাদেশে যাবেন। রাষ্ট্র নায়ক হবেন ইনশাল্লাহ। মিলটন ভুঁইয়াকে এ পদে নিয়োগ দেয়ায় তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি তরিকুল ইসলাম দিপু। পরিচালনা করেন ফোরামের সাধারন সম্পাদক বদিউল আলম। জয়নাল আবেদিন ফারুক শারীরিক চেকআপ ও চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। তিনি সভায় বিএনপির জাতীয় কমিটিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাচিত ৩ নেতাকে একসাথে কাজ করে সংঠনকে ঐক্যবদ্ধ করার আহবান জানান। তিনি জসিম ভুঁইয়াক উদ্দেশ্যে বলেন, সে কেন্দ্রে কোন স্থান পায় নি। নিশ্চয় নিরাশ হবেন না। হয়তো বড় কোন পদ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা অবিলম্বে কেন্দ্রের কাছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি পাঠানোর দাবি করেন। তারা বলেন, গত ১২ বছর ধরে কোন কমিটি নেই। এ জন্যই দলে একাধিক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে কমিটি দাবি করেন তারা। কেউ কেউ মিল্টন ভূঁইয়াকে আগামী সংসদ নির্বাচনে সন্দ্বীপ থেকে মনোনয়ন দেবার জন্য দাবি জানান।

মিল্টন ভূঁইয়া সবংর্ধনার জবাবে বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবেই আমরা কেন্দ্র থেকে কমিটি আনবো। ঈদের পর দলীয়ভাবে বসে যত মতভেদই থাকুক না কেন তা দূর করা হবে। জসিম ভূঁইয়া বলেন,১/১১ আন্দোলনে অনেকে ছিলেন না। তারা এখন বিএনপি করেন। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার প্রথম আলোর ঠেলাই সামলাতে পারছে না। বিএনপির ঠেলা থামাবে কেমনে।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা হেলাল খান, মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, জসিম ভূঁইয়া, আব্দুস সবুর, মোশাররফ সবুজ, আবু সাইয়িদ আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার সায়েম, মাকসুদুল এইচ চৌধুরী, আব্দুল বাতেন, পারভেজ সাজ্জাদ, জাহাঙ্গীর হোসেন, রিয়াজ মাহমুদ, সাইদুল খান ডিউক, সুলতান আহমেদ চৌধুরী,গিয়াস আহমেদ, মাহবুব, আব্দুল মান্নান হোসেন, আবুল কাশেম, আমানত হোসেন আমান, সাহাদত হোসেন রাজু, কামাল উদ্দীন, নুরুল আলম, জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী, শরীফ হোসেন, মাজহারুল ইসলাম জনি, কাওসার আহমেদ, সাজু আহমেদ, আতিকুল এইচ আহাদ, হুমায়ুন কবির ও আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।