মরিয়ম নাবাতাঞ্জির বিয়ে হয়েছিল ১২ বছর বয়সে। অভিযোগ, তাঁর বাবা মা বিক্রি করে দিয়েছিলেন তাঁকে। বিয়ের পরের বছরই তিনি যমজ সন্তানের মা হলেন। এর পর তিনি যখন ৩৬ বছর বয়সি মহিলা, তখন তিনি আরও ৪২ জন সন্তানের মা। আরও ৪ বছর পর প্রাপ্তি আরও ২ সন্তান। পরবর্তীতে তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন স্বামী।
তার পর থেকে তিনি সিঙ্গল মাদার হিসেবেই বড় করেছেন তাঁর ৪৪ সন্তানকে। উগান্ডার এই মহিলার পরিচয় এখন 'মামা উগান্ডা'। বিশ্বের মোস্ট ফার্টাইল নারীর তকমা পেয়েছেন তিনি।
এখনও পর্যন্ত চার বার যমজ সন্তানের মা হয়েছেন তিনি। পাঁচ বার ট্রিপলেট এবং পাঁচ বার কোয়াড্রুপ্লেট সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। অর্থাত পাঁচ বার করে তাঁর চারটি সন্তান একসঙ্গে এবং পাঁচটি সন্তান একসঙ্গে ভূমিষ্ঠ হয়েছে। একটিমাত্র সন্তান প্রসব করেছেন একবারই। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তাঁর ৬ টি সন্তান মারা যায় শৈশবেই। স্বামী যখন সব টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যান তখন মরিয়ম ৩৮ জন সন্তানের মা। ২০ টি ছেলে এবং ১৮ টি মেয়ে।
প্রসঙ্গত উগান্ডার নারীদের ফার্টিলিটি রেট সব সময়ই বেশি। সেখানে গড়ে ৫.৬ সন্তানের মা হন এক জন নারী। সেখানে সারা বিশ্বে এই হার ২.৪। তবে মরিয়মের ক্ষেত্রে এত সন্তানের জন্য দায়ী তাঁর দেহের হাইপার ওভ্যুলেশন। বিশালাকায় ডিম্বাশয়ের কারণে এই হাইপার ওভ্যুলেশন দেখা দেয়। ডাক্তাররা আরও জানান, জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ তাঁর ক্ষেত্রে কাজ করবে না। উল্টে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে।
শরীরের ফার্টিলিটি রেট কমানোর জন্য সন্তানের জন্ম দেওয়া প্রয়োজনীয় ছিল মরিয়মের ক্ষেত্রে। শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করে ডাক্তাররা তাঁর ইউটেরাস বাদ দেন। যাতে বন্ধ করা যায় গর্ভে ভ্রূণ সঞ্চার।
২০১৬ সালে স্বামী তাঁদের ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পর দিনরাত এক করে কাজ করেন মরিয়ম। তিনি পেশায় ইভেন্ট ডেকরেটর এবং হেয়ার স্টাইলিস্ট। পরিবারের জন্য ভেষজ ওষুধও বানান। সন্তানদের প্রতিপালনের জন্য তিনি একাধিক সংস্থা থেকে আর্থিক সাহায্য পান।