পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান তেহরিক-এ-ইনসাফ সুপ্রিমো ইমরান খান স্বাধীন বিদেশনীতির প্রশ্নে রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় ভারতের তেল আমদানি করার সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। জাতির উদ্দেশে ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন ভারতের মতো পাকিস্তানও সস্তায় রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু গত বছর আস্থাভোটে পরাস্ত হওয়ায় সব পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়।
পাকিস্তানে গত দু-দশকের ইতিহাসে ইমরান খানই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি রাশিয়া সফর করেন। তাঁর রাশিয়া সফরের সময়ই শুরু হয় রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত দেশকে কিছুটা সুরাহা দেওয়ার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে পারেননি তিনি। কারণ সেই চুক্তি রূপায়ণের আগেই আস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ খোয়ান ইমারন।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ চলা সত্ত্বেও ভারত রাশিয়ার থেকে সস্তায় তেল আমদানি করছে, অথচ অর্থনীতির বেহাল অবস্থাতেও পাকিস্তান সে সুযোগ নিতে পারল না, তার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।
ভারত পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ। রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থকে ভারতের আমদানি করা তেলের পরিমাণ দেশের মোট প্রয়োজনের ৮৫%। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আমেরিকার নেতৃত্বে সমগ্র পশ্চিমী দুনিয়া জ্বালানি আমদানির প্রশ্নে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেয় এবং রাশিয়াও তাদের পুরনো মৈত্রী-দেশকে বিশেষ ছাড়ে তেল বিক্রি করতে শুরু করে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী মুসাদিক মালিকের অবশ্য দাবি, ইতিমধ্যেই মস্কো ও ইসলামাবাদ তেল সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী পরের মাসেই রাশিয়ার প্রথম তেলবাহী জাহাজ পাকিস্তানের বন্দরে প্রবেশ করবে। রাশিয়ার জ্বালানি তেল আমদানি করলে দেশের সাম্প্রতিক আর্থিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।