২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৯:২০:১২ অপরাহ্ন


বিতর্কিত মার্কিন তহবিল পাসের প্রস্তাব, প্রতিবাদে উত্তাল নেপাল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০২-২০২২
বিতর্কিত মার্কিন তহবিল পাসের প্রস্তাব, প্রতিবাদে উত্তাল নেপাল ফাইল ফটো


নেপালের পার্লামেন্টে তোলা হয় বিতর্কিত মার্কিন তহবিল পাসের প্রস্তাব। আর এতেই বিরোধিতা শুরু করে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটি।

তহবিলটি পাসের বিরোধিতায় পার্লামেন্ট ভবন ঘেরাও করে অন্তত কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। ব্যারিকেডের মাধ্যমে তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে ক্ষুব্ধ নেপালিরা।

তাদের প্রতিহত করতে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট এবং ব্যাটন ব্যবহার করে পুলিশ। সংঘর্ষে দুই পক্ষের বহু মানুষ আহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে দেশটির বিদ্যুত্‍ সরবরাহ লাইন এবং সড়ক সংস্কার প্রকল্পে ৫০ কোটি ডলার অনুদানের ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু প্রথম থেকেই সরকারের শরিক দুটি বামপন্থী দল তহবিলের বিরোধিতা করছে। তাদের অভিযোগ, অগ্রহণযোগ্য শর্তের বিনিময়ে দেয়া হবে অনুদান। যা নেপালের সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর। মার্কিন এই সহায়তা প্রধানমন্ত্রী নেপালি কংগ্রেস পার্টির শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটকে বিভক্ত করেছে।

এদিকে সেনা শাসনের বিরুদ্ধে আবারো উত্তাল সুদান। গণতান্ত্রিক সরকারের দাবিতে দেশটির রাজধানী খার্তুমে রাস্তায় নেমে এসেছে কয়েক হাজার মানুষ। এদিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ২০২০ সালের বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত শেষ হওয়ার আগে বন্দর পুনর্গঠনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে। অন্যদিকে নেপালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিতর্কিত ৫০ কোটি ডলারের অনুদান পার্লামেন্টে পাস হওয়ায় বিক্ষোভ করেছে দেশটির জনগণ।

গেল বছরের অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট আবদাল্লাহ হামদক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলের পর সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আসছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। নিরাপত্তা বাহিনীর হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই তারা বিক্ষোভ করে আসছেন। চলমান আন্দোলনে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৮০ জন। আহত হয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ।

বিক্ষোভ হয়েছে লেবাননের রাজধানী বৈরুতেও। ২০২০ সালে শহরটির বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই, এর পরিচালনার দায়িত্ব ফরাসি শিপিং কোম্পানিকে দেওয়ার প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন বিস্ফোরণে হতাহতদের পরিবারের সদস্যরা।

রাজশাহীর সময় /এএইচ