ভূমধ্যসাগর অতিক্রম করার সময় তিউনিসিয়া উপকূলে দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন এখনও ২৭ অভিবাসন প্রত্যাশী। তাদের জীবিত পাওয়ার আশা দেখছেন না উদ্ধারকর্মীরা। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তিউনিসিয়ার উপকূলে বেশ কয়েকটি নৌকাডুবির ঘটনায় কয়েক ডজন মানুষ নিখোঁজ হয়েছে বা মারা গেছে।
ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের জন্য লিবিয়াকে প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট হিসেবে প্রতিস্থাপিত করেছে তিউনিসিয়া।
দেশটির সরকারি মুখপাত্রের তথ্য অনুসারে, শুক্রবার ইতালির উদ্দেশে তিউনিসিয়া থেকে রওনা হয়েছিলো একটি কাঠের নৌকা। নৌকায় ছিলেন ৩৭ আরোহী। সমুদ্রে দুর্ঘটনায় পড়ার পর ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। বাকিরা এখনও নিখোঁজ। তাদের অনুসন্ধানে চলছে তল্লাশি।
অপর নৌকায় ছিলেন ৩৬ অভিবাসনপ্রার্থী। তাদের মধ্যে মিলছে না ৭ জনের সন্ধান। তিউনিসিয়া থেকে ইতালির দ্বীপ ল্যাম্পাডুসার দূরত্ব মাত্র দেড়শো কিলোমিটার। সে কারণেই, দেশটিকে মানবপাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড জানিয়েছে, বছরের প্রথম তিন মাসেই ইউরোপমুখী ১৪ হাজার অভিবাসনপ্রার্থীকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই সাব-সাহারা আফ্রিকার বাসিন্দা।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে কোস্টগার্ড টহল ৫০১টি সামুদ্রিক সীমান্ত অতিক্রম করার গোপন প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করেছে এবং সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে ১৩ হাজার ১৩৮ জনসহ ১৪ হাজার ৪০৬ জন শরণার্থীকে উদ্ধার করেছে। এদের বেশিরভাগকেই স্ফ্যাক্স এবং মাহদিয়া প্রদেশের উপকূলে আটক করা হয়েছে, যার উপকূল ইতালীয় দ্বীপ ল্যাম্পেডুসা থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সূত্র: এপি, দ্য গার্ডিয়ান।