১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১১:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন


নানা আয়োজনে মাতৃভাষা দিবস পালন রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাব ও আরআরইউ’র
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০২-২০২২
নানা আয়োজনে মাতৃভাষা দিবস পালন রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাব ও আরআরইউ’র নানা আয়োজনে মাতৃভাষা দিবস পালন রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাব ও আরআরইউ’র


যথাযোগ্য মর্যাদায় ও নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাব ও রাজশাহী রিপোর্টার্স ইউনিটি (আরআরইউ)।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি-২০২২) বেলা ১১টায় দিবসটি উপলক্ষে রাজশাহীর প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাব ও আরআরইউ’র নেতৃবৃন্দ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস নিয়ে লেখা বই বিতরণ করা হয়। এরপর ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।  

এতে সভাপতি করেন রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাব ও আরআরইউ’র সভাপতি এসএম আব্দুল মুগনী নীরো। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুহা: আব্দুল আউয়াল। বক্তব্য রাখেন রাজশাহী¡ মহানগর প্রেসক্লাব ও আরআরইউ’র সিনিয়র সহসভাপতি মাসুদ রানা রাব্বানী, আরআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন, রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক তৌফিক ইমাম পান্না, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা জামান ও অর্থ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ। অনুভুতি প্রকাশ করে বক্তব্য প্রদান করে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী তামান্না তাবাসসুম, রাজশাহীর মসজিদ মিশন একাডেমীর (স্কুল এ- কলেজ) তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র মুহাম্মদ নাফিস মাহমুদ ও রাজশাহী বি:বি: একাডেমীর ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী জেসমিন আহমেদ। এতে অন্যদের মধ্যে রাজশাহী মহানগর প্রেসক্লাব ও আরআরইউ’র আজীবন সদস্য পরিমল কুমার ঘোষ মিঠু, রাজশাহী জজ কোর্টের আইনজীবী নিজাম উদ্দিন, আরআরইউ’র দফতর সম্পাদক ইফতেখার আলম, নির্বাহী সদস্য জিয়াউল কবির স্বপন, ফয়সাল হোসেনসহ প্রেসক্লাব ও আরআরইউ’র সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ ও সুধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের চেষ্টা চালাতে হবে। ভাষা শহীদদের মর্যাদা দিতে হবে। তারা বলেন, ভাষার মর্যাদার জন্য যারা রক্ত দিয়েছেন, তাদের ঋণ পরিশোধ করতে সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনের চেষ্টা চালাতে হবে সর্বান্তকরণে। বক্তারা বলেন, ‘আকাশ সংস্কৃতি’র বদৌলতে এখন এদেশে ঘরে ঘরে শিশুরা বাংলার পরিবর্তে হিন্দিতে কথা বলতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। সমাজের অনেক ক্ষেত্রে চলছে হিন্দির সর্বগ্রাসী আগ্রাসন। এর সাথে রয়েছে ইংরেজি। তবে প্রথমে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় বিদেশী ভাষার চর্চা করতে হবে। কিন্তু এখন বাংলাকে জলাঞ্জলি দিয়ে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের দরজা অনেকেই খুলে দিচ্ছেন। যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।

রাজশাহীর সময় /এএইচ