যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সাক্ষাতের জেরে তাইওয়ানের আশেপাশে তিন দিনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। খবর আল-জাজিরার।
শনিবার (৮ এপ্রিল) চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড এক বিবৃতিতে জানান, যুদ্ধ প্রস্তুতিমূলক মহড়া আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। ‘ইউনাইটেড শার্প সোর্ড’ নামে পরিচিত এ মহড়া দ্বীপের উত্তর ও দক্ষিণে তাইওয়ান প্রণালীতে এবং এর পূর্বে সমুদ্র এবং আকাশপথে অনুশীলন চলছে।
পিএলএ বলছে, এটি তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি এবং বহিরাগত শক্তির যোগসাজশ ও উসকানির জন্য গুরুতর সতর্কতা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
গত বুধবার (৫ এপ্রিল) তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ক্যালিফোর্নিয়ায় দেশটির প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন। এর পরই চীনের পক্ষ থেকে এ খবর এলো।
এদিকে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ও ব্যাপক মাত্রায় সতর্ক রয়েছে। দ্বীপের নিরাপত্তা রক্ষায় যথাযথ প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে বলেও সতর্ক করেছে তারা।
এর আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রতিক্রিয়ায় দেশটিতে নিযুক্ত তাইওয়ানের ডি ফ্যাক্টো রাষ্ট্রদূত সাও বি-খিমের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন।
তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর চীনা মূল ভূখণ্ড, হংকং এবং ম্যাকাওয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, চীনের তাইওয়ান অ্যাফেয়ার্স অফিসের ঘোষিত এ নিষেধাজ্ঞায় সাওয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিনিয়োগকারী এবং সংস্থাগুলোকে চীনা মূল ভূখণ্ডের বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সহযোগিতা করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পাশাপাশি সাইয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের আয়োজক দুটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান হাডসন ইনস্টিটিউট এবং রিগান লাইব্রেরি ও তাদের প্রধানদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও চীন এখনও দ্বীপটিকে তাদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া অংশ মনে করে।