১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৪:০৬:৩৭ অপরাহ্ন


ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা নাবিল হায়দারের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৪-২০২৩
ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা নাবিল হায়দারের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা নাবিল হায়দার।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নাবিল হায়দার মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে তাঁর মৃত্যুতে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটিকে আত্মহত্যা উল্লেখ করলেও ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ এটিকে সাধারণ মৃত্যু ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগ তার মৃত্যুকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে শোকবার্তায় জানিয়েছে।

এদিকে ফেসবুকে মইনুল হক নামে একজন লিখেছন, "অত্যন্ত দুঃখের সহিত জানাচ্ছি চাচাতো ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী মুখ নাবিল হায়দার হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভোর ৪ টায় মারা গিয়েছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন )। ঐতিহ্যবাহী মানিকা শানু মিয়া বাড়ির মরহুম বশির আহমেদ মিয়ার বড় ছেলে জসীমউদ্দীন হায়দারের (চেয়ারম্যান বড় মানিকা ইউনিয়ন ও সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগ ) ছোট ছেলে নাবিল। জানাজা আগামীকাল সকাল ১০ টায় মানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। মহান আল্লাহ পাক নাবিলের ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতবাসী করেন (আমীন)।"

আজ শুক্রবার ভোর চারটায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। এর আগে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাঙা চশমার ছবি দিয়ে ‘বিদায়’ লিখে একটি পোস্ট দেন নাবিল। নাবিল থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে। তার গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নে। 

শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে একটি জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপরে তাঁর মৃতদেহ পরিবারের সদস্যরা গ্রামের বাড়ি ভোলায় নিয়ে যান। আগামীকাল সকালে সেখানে একটি জানাযা শেষে দাফন করা হবে বলে জানা যায়। 

এদিকে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলছেন ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান। এ বিষয়ে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, নাবিলের মৃত্যুটি একটি আত্মহত্যা। সকালে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তার বন্ধু-বান্ধব ও ঘনিষ্ঠজনদের থেকে এটিই জেনেছি যে সে আত্মহত্যা করেছে। 

তবে তার মৃত্যুতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ভোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর মরদেহ মেডিকেলে আসে। এটি মর্গেও রাখা হয়নি, ময়নাতদন্তও হয়নি। যারা তাকে নিয়ে এসেছিল তারা তার স্বাভাবিক মৃত্যু দেখিয়ে মরদেহ নিয়ে গেছে।