২০১৬ সালে পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ করার জন্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ সামনে আসার পরেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। স্টর্মি ড্যানিয়েলস নিজেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার সেই মামলায় হেরে গেলেন স্টর্মি ড্যানিয়েলস। উল্টে, ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালত মানহানির মামলায় স্টর্মিকেই ১ লক্ষ ২১ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিদেশ দিয়েছে।
জানা গেছে, আদালতের নির্দেশে এই মামলায় দুটি আপিলের জন্য ট্রাম্পের অ্যাটর্নিকে ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ ডলার দিতে হচ্ছে স্টর্মিকে। এবার ফের নতুন করে জরিমানা করা হল তাঁকে।
ড্যানিয়েলস অভিযোগ তুলেছিলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখার জন্য তাঁর বাড়ির পার্কিং লটে এসে তাঁকে হুমকি দিয়ে গেছেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। যদিও ট্রাম্প টুইট করে দাবি করেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। এরপরেই ২০১৮ সালে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন স্টর্মি। কিন্তু তাঁর আর্জি খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি জানিয়েছিলেন, ট্রাম্পের বক্তব্য ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট দ্বারা সুরক্ষিত। এরপরেই দু’টি আলাদা আপিলের ক্ষেত্রে স্টর্মিকে ট্রাম্পের অ্যাটর্নিকে ৫ লক্ষ ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এবার সেই মামলাতে হেরেই গেলেন পর্ন তারকা।
২০১৬ সালে ড্যানিয়েলস বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের ২০০৬ সালে যৌন সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এতেই প্রমাদ গোনেন ট্রাম্প। কারণ তিনি সেই সময় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়ে নির্বাচনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, তাঁর আইনজীবী মাইকেল কোহেনের মাধ্যমে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ড্যানিয়েলসকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার ‘ঘুষ’ দেন। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কোহেনের আইনি পারিশ্রমিক হিসেবে নথিভুক্ত করে প্রকৃত তথ্য গোপন করার অভিযোগ ওঠে। এর পরেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের একটি আদালতে সেই মামলাগুলিরও শুনানি ছিল। সোমবার ৭৬ বছর বয়সি ট্রাম্প মামলার একদিন আগেই ফ্লোরিডা থেকে ফিরে এসেছিলেন নিউ ইয়র্কে, উদ্দেশ্য আদালতে আত্মসমর্পণ করা।