মার্কিন পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে তথ্য গোপন রাখার বিনিময়ে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার প্রদান করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সংক্রান্ত মামলায় হাজিরা দিতে মঙ্গলবার নিউইয়র্কে ম্যানহাটনের আদালতে উপস্থিত হন ট্রাম্প। তবে আদালতের কাছে নিজের বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগের সবগুলোই অস্বীকার করেছেন তিনি।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এদিন আদালতের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ট্রাম্প নিউইয়র্ক থেকে উড়ে যান ফ্লোরিডায়। সেখানে তার বাড়ি মার-এ-লাগোয় নিজ সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প তার বক্তব্যে বলেন, তারা ব্যালট বাক্সে আমাদের পরাজিত করতে পারবে না, তাই তারা আইনের মাধ্যমে আমাদের পরাজিত করার চেষ্টা করছে।
তিনি যোগ করেন, আমরা অধঃপতনের দিকে যাওয়া একটি জাতি এবং এখন এই উগ্র বাম পাগলরা আইনকে ব্যবহার করে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চায়।
ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এবং তদন্তকে ২০২০ সালের নির্বাচন কারচুপির মিথ্যা দাবির সাথে সংযুক্ত করে বলেন, আমরা এটা হতে দিতে পারি না।
তিনি বলেন, একমাত্র অপরাধ আমি যেটি করেছি, সেটি হলো যারা আমাদের দেশকে ধ্বংস করতে চায় তাদের কাছ থেকে দেশকে রক্ষা করেছি।
শুরু থেকেই ডেমোক্র্যাটরা আমার ক্যাম্পেইনের ওপর নজরদারি চালিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তদন্তের নামে তারা হামলা চালিয়েছে।
এদিকে ম্যানহাটন আদালতের জেলা অ্যাটর্নি আলভিন ব্রাগের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেন, তিনি একজন ক্রিমিনাল। তার বিচার হওয়া উচিত অথবা তার পদত্যাগ করা উচিত। ট্রাম্পের দাবি, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তথ্যগুলো ব্রাগই গণমাধ্যমে ফাঁস করেছেন।
অন্যদিকে আরেক বিচারক জুয়ান মার্চেনের সমালোচনা করে ট্রাম্প জানান, তার বিরুদ্ধে এমন একজন বিচারক বিচার করছেন যার পুরো পরিবার ট্রাম্প বিরোধী।
তিনি আরও বলেন, আমাদের একজন ট্রাম্প বিরোধী বিচারক আছেন, সঙ্গে আছেন তার ট্রাম্প বিরোধী স্ত্রী ও পরিবার।
এদিন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা খারাপ। আমাদের অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
তিনি যোগ করেন, রাশিয়া চীনের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। আপনারা বিশ্বাস করতে পারেন? সৌদি আরব-ইরানের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। আমি যদি প্রেসিডেন্ট থাকতাম তাহলে এর কিছুই হতো না।
এর আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ২০০৬ সালে স্টরমি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে তার পক্ষ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেয়া হয়েছিল ড্যানিয়েলসকে। এ অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প।