২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন


ক্ষমার দশকে যে দোয়াগুলো বেশি পড়বেন
ধর্ম ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৪-২০২৩
ক্ষমার দশকে যে দোয়াগুলো বেশি পড়বেন ফাইল ফটো


রহমতের দশক শেষে শুরু হলো ক্ষমার দশক। মাগফেরাতের দশকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা পেতে এ দোয়াগুলো বেশি বেশি পড়া জরুরি। দোয়াগুলো হলো-

১. اَسْتَغْفِرُ اللهَ رَبِّىْ مِنْ كُلِّ ذَنْبٍ وَ اَتُوْبُ اِلَيْهِ

উচ্চারণ : ‘আসতাগফিরুল্লাহ রব্বি মিন কুল্লি যামবিন ওয়াতুবু ইলাইহি।’

অর্থ : ‘আমি আমার প্রভু আল্লাহর কাছে আমার সমুদয় পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তারই দিকে প্রত্যাবর্তন করছি।’

২. سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ

উচ্চারণ : ‘সামি’না ওয়া আতানা গুফরানাকা রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাসির।’

অর্থ : ‘আমরা (আল্লাহ তাআলার আদেশ) শুনলাম ও মানলাম, হে আমাদের প্রভু-প্রতিপালক! আমরা তোমারই কাছে ক্ষমা চাই আর তোমারই দিকে সবার ফিরে যেতে হবে।’ (সুরা বাকারা: আয়াত ২৮৫)

৩. رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

উচ্চারণ : ‘রাব্বানা মা খালাকতা হাজা বাতিলাং সুবহানাকা ফাকিনা আজাবান নার।’

অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু! তুমি এ বিশ্বজগতকে বৃথা সৃষ্টি করনি। তুমি পবিত্র। সুতরাং তুমি আমাদের আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা কর।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৯১)

৪. لَئِن لَّمْ يَرْحَمْنَا رَبُّنَا وَيَغْفِرْ لَنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ

উচ্চারণ : ‘লা ইল্লাম ইয়ারহামনা রাব্বুনা ওয়া ইয়াগফির লানা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরিন।’

অর্থ : ‘আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ওপর যদি কৃপা না করেন এবং আমাদের ক্ষমা না করেন তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ১৪৯)

৫. হজরত আদম আলাইহিস সালাম যে দোয়া পাঠ করে আল্লাহ তাআলার ক্ষমার চাদরে আবৃত হয়েছিলেন সেই দোয়াটিও রমজানের ক্ষমার এ দশকে অনেক বেশি পাঠ করা যেতে পারে। তিনি দোয়া করেছিলেন-

رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ

উচ্চারণ : ‘রাব্বানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরিন।’

অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু-প্রতিপালক! নিশ্চয় আমরা আমাদের প্রাণের ওপর অত্যাচার করেছি আর তুমি যদি আমাদেরকে ক্ষমা না কর ও আমাদের প্রতি কৃপা না কর তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ২৩)

রমজানের রোজার মাধ্যমে মানুষ স্বীয় কামনা-বাসনাকে দমন করে নিজেকে ফেরেশতাগণের মোকাম অতিক্রম করাতে সক্ষম হয়। সে পৌঁছে যায় প্রশান্তিপ্রাপ্তদের পর্যায়ে। রোজার দ্বারা আত্মাকে জ্যোতির্ময় করার সুযোগ পাওয়া যায়। তাই রোজা রেখে যদি আল্লাহ পাকের আদেশ-নিষেধ পরিপূর্ণভাবে পালন করে জীবন অতিবাহিত করা যায় তাহলে আশা করা যায় তিনি রোজাদারদের ক্ষমা করবেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মাগফেরাতের দশকে পরিপূর্ণ নিষ্পাপ হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।