পাকিস্তানে বেড়ে চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। মূল্যস্ফীতির কারণে পবিত্র রমজানে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। সরকারের খাদ্যপণ্য বিতরণের লাইন কেবল দীর্ঘ হচ্ছে। গত ১০ দিনে বিনামূল্যের আটা নিতে গিয়ে ভিড়ে পদদলিত হয়ে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ভয়াবহ বন্যা আর বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুর্দশা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত ৫ দশকের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি অর্থনৈতিক সংকটে থাকা দেশটিতে। এ মাসে মূল্যস্ফীতি ৩৫ শতাংশ বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
পাকিস্তানের রিজার্ভ কমে গেছে, অব্যাহত রয়েছে রুপির দরপতন। দেশটির ঋণও অনেক, এ ঋণ পরিশোধের জন্য পাকিস্তানের বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন। অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে জরুরি ঋণ সহায়তা চেয়েছে ইসলামাবাদ।
এ অবস্থায় ২২ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে দরিদ্র পাকিস্তানিরা অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়ে কষ্টে দিন যাপন করছেন। এ সংকটের মধ্যেই পবিত্র রমজান মাস চলছে। এ মাসে সব মুসলমান চেষ্টা করেন ইফতারে একটু হলেও ভালো খাবার খাওয়ার। তবে এবারের রমজানের মতো কষ্টে পড়তে হয়নি নিম্ন আয়ের মানুষের।
শত শত পাকিস্তানি প্রতিদিন সরকারের খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রগুলোর সামনে ভিড় করছেন। রমজান শুরুর পর বিনামূল্যের আটা আনতে গিয়ে গত ১০ দিনে ভিড়ে পদদলিত হয়ে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিন বেলা খাবার দূরের কথা এ মানুষগুলো কোনরকম খেয়ে পরে বাঁচবেন কি না তাই নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।