দাম্পত্য জীবনে নেমে এসেছিল বিচ্ছেদের খাঁড়া। আইনি বিচ্ছেদ হয়নি ঠিকই, কিন্তু আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন দুজনে। তারপর হঠাৎই একদিন থানার তরফে ফোন করে খবর দেওয়া হয়, আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। দুঃখে, অবসাদে স্বামীর মৃত্যুর জন্য তখন নিজেকেই দায়ী করছিলেন স্ত্রী। তারপর হঠাৎই একদিন জানতে পারলেন, আত্মহত্যা করা তো দূর, আদৌ মারা যাননি তাঁর স্বামী। উল্টে, নিজের মৃত্যুর খবর রটিয়ে দিয়ে দূর দেশে পালিয়ে গিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে আলাদা করে সংসার পেতেছেন তিনি। সেই প্রেমিকার সঙ্গে ছ বছর আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল তাঁর।
এমনই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা অ্যানেসা রোজির। পুরো ঘটনার বিবরণ নিজের টিকটক হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন রোজি, যা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে।
তিনি জানিয়েছেন, আইনি বিচ্ছেদ না হলেও গত বছরের মাঝামাঝি থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন তিনি ও তাঁর স্বামী। ৫ মাস পর একদিন হঠাৎ স্বামীর মৃত্যুর খবর পান তিনি। জানুয়ারি মাসে পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁর স্বামীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
স্বভাবতই, একসঙ্গে না থাকলেও এই খবর পেয়ে একেবারেই খুশি হননি তিনি। উল্টে মনোকষ্টে ভুগতে শুরু করেন। একটা সময় তো স্বামী মৃত্যুর জন্য নিজেকেই দায়ী বলে ভাবতে শুরু করেছিলেন তিনি।
এরপরেই এল কাহিনিতে টুইস্ট। মার্চ মাসে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে মেসেজ করে রোজিকে একটি ছবি পাঠান তাঁর এক বন্ধু। হতবাক হয়ে রোজি দেখেন, আত্মহত্যা করা তো দূর, অন্য এক মহিলার সঙ্গে চুটিয়ে সংসার করছেন তাঁরই স্বামী। খোঁজ খবর করে জানতে পারেন, তাঁরা যখন সুখী দাম্পত্যে ছিলেন, সেই সময় থেকেই ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তাঁর স্বামী। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে রোজিকে কিচ্ছু বুঝতে না দিয়ে প্রেমলীলা চালিয়ে গেছেন স্বামী। সেই প্রেমিকার সঙ্গেই যাতে নিরুপদ্রবে জীবন কাটানো যায়, তার জন্যই নিজের মৃত্যুর খবর রটান তিনি। তারপর ক্যালিফোর্নিয়া ছেড়ে চলে যান মেক্সিকোতে। আপাতত প্রেমিকার সঙ্গে সেখানেই সুখের সংসার তাঁর।
বিষয়টি পুরোটাই একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে নিজের টিকটক হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন রোজি, যা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে।
যদিও এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা প্রতারণা এবং মৃত্যুর খবর রটিয়ে দেওয়ার যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রোজির স্বামী। তিনি নিজেও এই বিষয়ে একটি ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি নিজের মৃত্যুর খবর রটাইনি। বরং এরকম কিছু শোনাটা আমার জীবনের সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপার।