২৯ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৫:৪৩:৫৪ অপরাহ্ন


ফের তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত ওপেকের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৪-২০২৩
ফের তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত ওপেকের ফাইল ফটো


আবারও বিশাল পরিমাণ তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা ওপেক প্লাস। এই সিদ্ধান্তকে আশ্চর্যজনক পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। এর ফলে জ্বালানি তেলের বাজারে আবারও অস্থিরতা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

রোববারের ঘোষণায় সংস্থাটি বলেছে যে, দৈনিক ১০ লাখ ১৬ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানো হবে।

অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজের (ওপেক) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে শুধু সৌদি আরবই দিনে পাঁচ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমাবে। ইরাক কমাবে ২ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল। সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, আলজেরিয়া ও ওমানও তেল উৎপাদন কমাচ্ছে।

ওপেক প্লাসের এই সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশেও তেলের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা অভিযান চালানোর পর থেকে হঠাৎ করেই বিশ্ববাজারে রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছিল জ্বালানি তেলের দাম। বর্তমানে সেই দাম অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র তেলের বাজার স্বাভাবিক রাখতে উৎপাদনকারী দেশগুলোর কাছে তেল উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। যাতে দাম আরও কমে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বিশ্বজুড়েই বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতি। জীবনযাপন ব্যয়ও অনেক দেশে সহ্যসীমা ছাড়িয়েছে।

তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর এমন ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বলেছে, ‘বাজারের অনিশ্চয়তার মধ্যে এই মুহূর্তে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত বলে মনে করি না আমরা। এটা পরিষ্কার করেই বলছি। ’

ওপেনভুক্ত দেশগুলোর এমন সিদ্ধান্তে সবমিলিয়ে প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কম হবে। এই গোষ্ঠীটি বিশ্বে ৪০ শতাংশ ক্রুড তেল সরবরাহ করে থাকে।

সৌদির জ্বালানি মন্ত্রণালয় বলেছে, বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পূর্ব সচেতনতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে তেল ব্যারেল প্রতি ৮০ ডলার, এমন সিদ্ধান্তে এটা বাড়তে পারে। তেল বেচাকেনায় মধ্যস্থতা করা পিভিএম বলেছে, এতে ব্যারেল প্রতি ৩ ডলার বাড়তে পারে তেলের দাম। অন্যদিকে পিকারিং এনার্জি পার্টনার্স বলেছে, তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০ ডলার বাড়তে পারে।