২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৬:৪৪:৫৬ পূর্বাহ্ন


স্যার’ সম্বোধন না করায় প্রাথমিকের শিক্ষকের ওপর চড়াও সরকারি কর্মকর্তা
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৩-২০২৩
স্যার’ সম্বোধন না করায় প্রাথমিকের শিক্ষকের ওপর চড়াও সরকারি কর্মকর্তা স্যার’ সম্বোধন না করায় প্রাথমিকের শিক্ষকের ওপর চড়াও সরকারি কর্মকর্তা


রংপুরের জেলা প্রশাসককে ‘স্যার’ না ডাকায় অশোভন আচরণের শিকার হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। সেই বিতর্কের রেশ না কাটতেই কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ‘স্যার’ সম্বোধন না করায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের ওপর চড়াও হন আরেক সরকারি কর্মকর্তা। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে।

অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান। তিনি কুলিয়ারচর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার। আর ভুক্তভোগী লুত্ফুল আজাদ উপজেলার ছয়সূচি ইউনিয়নের উত্তরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতিও। 

জানা গেছে, রবিবার সকালে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শহীদ সেলিম স্মৃতি ভাস্কর্যে ফুল দেওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে। এ সময় অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করছিলেন একাডেমিক সুপারভাইজার মুশফিকুর রহমান।

শিক্ষক লুত্ফুল আজাদ জানান, তিনি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ফুল দিতে অনুষ্ঠানে যান। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও তাঁদের ডাকা হচ্ছিল না। তাই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গিয়ে একাডেমিক সুপারভাইজারকে ‘ভাই’ সম্বোধন করেন। এতে রাগান্বিত হয়ে মাইক্রোফোন হাতে নিয়েই সুপারভাইজার বলতে থাকেন, ‘কে আপনার ভাই? নিজেকে কত বড় নেতা মনে করেন? স্যার বলেন নাই কেন?’

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম, থানার ওসি গোলাম মোস্তফা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুছাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। তাঁরা সবাই একাডেমিক সুপারভাইজারের কথা মাইকে শুনতে পেয়ে অবাক হন।

তবে বিষয়টি বেশিদূর গড়াতে দেননি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম। ওই দিন দুপুরে দুজনকে ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এ প্রসঙ্গে ইউএনও বলেন, ‘অনুষ্ঠানে ফুল দেওয়ার সময় তাঁদের মধ্যে খানিকটা ঝামেলা হয়। এ কারণে উপস্থিত সবাই অনুষ্ঠান সঞ্চালকের ওপর বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হন। পরে আমি তাঁদের ভুল-বোঝাবুঝি মীমাংসা করে দিই।

একাডেমিক সুপারভাইজার মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি আসলে ভুল-বোঝাবুঝি থেকে সৃষ্ট। শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার সময় কার আগে কে দেবে—তা নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়। ওই শিক্ষকও বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে আসেন। তখন আমি মেজাজ হারিয়ে ফেলি। এর সঙ্গে স্যার বলা বা না বলার সম্পর্ক নেই।’