২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:০৭:৩২ অপরাহ্ন


লালপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান দখলে সহযোগিতার অভিযোগ
লালপুর(নাটোর)প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৩-২০২৩
লালপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান দখলে সহযোগিতার অভিযোগ লালপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান দখলে সহযোগিতার অভিযোগ


নাটোরের লালপুর থানার সহাকরি উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) শাহীনুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও ১৪৪ ধারা অমান্য করে দোকান দখলে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে।

সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হল মার্কেটে দক্ষিণ লালপুর গ্রামের মৃত আফসার উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালামের ৫৫ শতক জমির ৫ শতক জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ বাকনাই গ্রামের সফের উদ্দিনের ছেলে হামিদুল ইসলাম, দক্ষিণ লালপুর গ্রামের জামাত আলীর ছেলে শাহজাহান বাদশা ও শহিদুল ইসলাম শহীদের মামলা চলমান রয়েছে। বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাটোরের মামলা নং ১৮৬পি / ২৩ ফৌ: কা: বি: এর ধারা: ১৪৪ , এডিএস/ কোর্ট/ ৪২৬ , তারিখ - ২০/০৩/২৩ মোতাবেক লালপুর থানার এএসআই শাহীনুর রহমান নোটিশ জারি করেন।

এর আগে, আব্দুস সালামের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৭ আগষ্ট নাটোরের সহকারি জজ আদালতে ওই জমির ওপর স্টাসকো জারি করেন সহকারি জজ আখতার জাবেদ। পরবর্তীতে ওই জমির উপর পুনরায় বাটোয়ারা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হামিদুল ইসলাম দিগরকে ওই জমির ওপর অন্তবর্তী কালীন নিষেধাজ্ঞা (মামলা নং-২০৭/২২, আদেশ-৫, তারিখ-১২/০৩/২০২৩) প্রদান করেন সহকারি জজ আদালত।

এবিষয়ে আব্দুস সালাম বলেন, পৈত্রিক ৫৫ শতক জমির ৫ শতক জমি নিয়ে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। আমি ওই ৫ শতাংশ জমি বাদ দিয়ে দোকানের সংস্কার করছিলাম। এসময় প্রতিপক্ষরা মালামাল নিয়ে ওই ৫ শতক জমি জোরপূবক দখলের চেষ্ঠা করেন। আমি নিরুপায় হয়ে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ দিয়ে পুলিশী সহায়তা চায়। পরে ঘটনাস্থলে লালপুর থানার এএসআই শাহিনুর রহমান উপস্থিত হয়ে আদালতের তোয়াক্কা না করে তাদের পক্ষেই সাফাই করে দোকান দখলে সহযোগিতা করেন। তার সহযোগীতায় প্রতিপক্ষ দোকানে মালামাল রেখে গেছেন। এখনও সেগুলো রয়েছে। 

হামিদুর রহমান বলেন, আমার ৫ শতাংশ জমি আমি দখল করেছি। ওই জমিতে না যেতে প্রতিপক্ষের উপর ১৪৪ ধারা জারি করেছে আদালত। পুলিশ এসে দেখে গেছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে লালপুর থানার সহাকরি উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) শাহীনুর রহমান বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আদালতে নির্দেশনা মোতাবেক উভয় পক্ষকে কাজ বন্ধ রাখতে বলি। এখানে দোকান দখলে সহযোগিতার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

এবিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, ওই জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতের ৩ টা আদেশ আছে। সেই আদেশ কেউ অমান্য করলে আদালতে আমরা রিপোর্ট দেয়। আর দোকান দখলে পুলিশের সহযোগিতা করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।