যুক্তরাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গর বুধবার রাতে প্রথম তারাবীহ’র নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথম ইফতারির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
গত তিন বছরে করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের প্রবাসী বাংলাদেশিদের দ্বারা পরিচালিত মসজিদগুলোতে 'খতম তারাবীহ' নামাজে মুসল্লিদের উপস্থিতি একাবারেই কম দেখা গেছে। কিন্তু এবারে গোটা যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি ও ভিনদেশীয় মুসলমানদের দ্বারা পরিচালিত প্রায় ছয় শতাধিক মসজিদে নেওয়া হয়েছে 'খতম তারাবীহ' নামাজের প্রস্তুতি। পাশাপাশি মাসব্যাপী চলবে প্রতিদিনের ইফতার মাহফিলও। কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের দুই-তিনটি শহর ব্যতীত বেশিরভাগ এলাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে রোজা শুরু করেছেন।
মহামারী করোনাভাইরাসের ছোবল থেকে রক্ষা পেতে প্রায় দুই বছর যুক্তরাষ্ট্রের কোটি কোটি মানুষ সরকারি আদেশে প্রায় ঘরবন্দি হয়ে ছিলেন। একই আদেশের আওতায় লাখ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিরা ছিলেন ঘরবন্দি। গত তিন বছরের চেয়ে এবারে স্বতস্ফুর্তভাবে মসজিদের ভেতরে খতমে তারাবি নামাজে অংশ নিতে পারছেন অনেকেই।
যুক্তরাষ্ট্রের জনবহুল ও বাংলাদেশি অধুষ্যিত নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভানিয়া, ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, ওহাইও, ইলিনয়স, কলারাডো, ডেলাওয়ার, জর্জিয়া, কানসাস, ম্যারিল্যান্ড, মিশিগান, সাউথ ক্যারোলিনা, ওয়াশিংটন ও কেন্টাকির প্রায় দেড় শতাধিক মসজিদে নিয়মিত খতম তারাবীহ'র ব্যবস্থা করেছেন বাংলাদেশি পরিচালিত মসজিদ কমিটি। এ ছাড়া বিভিন্ন মসজিদে ইফতার মাহফিলের পর গভীর রাত পর্যন্ত চলছে ধর্মীয় বয়ান। কোরান ও হাদিসের আলোকে মাহে রমজানের তাৎপর্য তুলে ধরে ইসলামী চিন্তাবিদরা গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করছেন।
রোজা শুরু ও ঈদ উদযাপন নিয়ে প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বাংলাদেশিসহ ভিন্ন দেশিয় মুসলমানদের মাঝে দ্বিমত দেখা দিলেও এবার এক সঙ্গেই রোজা শুরু হয়েছে।