২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১২:৫৪:২৪ পূর্বাহ্ন


বকেয়া টাকা চাওয়ায় প্রতিপক্ষের কাঁচির আঘাতে সাংবাদিক রক্তাক্ত
বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৩-২০২৩
বকেয়া টাকা চাওয়ায় প্রতিপক্ষের কাঁচির আঘাতে সাংবাদিক রক্তাক্ত বকেয়া টাকা চাওয়ায় প্রতিপক্ষের কাঁচির আঘাতে সাংবাদিক রক্তাক্ত


নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দোকান বাঁকির টাকা চাওয়ার জেরে প্রতিপক্ষের কাঁচির আঘাতে রক্তাক্ত জখমে গুরুতর আহত হয়েছেন সাংবাদিক ফজলুর রহমান (৩২)।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় উপজেলার বড়পুকুরিয়া রেলগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

বর্তমানে তিনি বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফজলুর রহমান স্থানীয় বাগাতিপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক এবং দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি। আহত সাংবাদিক ফজলুর রহমান বলেন, তার চাচা পৌরসভার পেড়াবাড়িয়া মহল্লার মোস্তফা কামাল এবং একই উপজেলার কোয়ালিপাড়া গ্রামের আকরাম হোসেন পিন্টু উভয়েই ঔষধ ব্যবসায়ী। ব্যবসার কারনে তার চাচার দোকান থেকে ঔষধ ক্রয়ের সূত্র ধরে আকরাম হোসেন পিন্টুর ২৮ হাজার ২১০ টাকা বাঁকি ছিল। হালখাতায় বকেয়ার টাকা পরিশোধ না করায় বিষয়টি নিয়ে কথা হলে শনিবার বড়পুকুরিয়া রেলগেট এলাকার পিন্টুর ভেটেরিনারি ঔষধের দোকানে যেতে বলেন পিন্টু। সেখানে গেলে পিন্টু ৫ হাজার টাকা বাঁকি থাকার দাবি করলে চাচা মোস্তফা কামাল এবং পিন্টুর মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে চাচার ওপর চড়াও হলে সাথে থাকা সাংবাদিক ফজলুর রহমান এর প্রতিবাদ করে বাঁকি টাকা পরিশোধের কথা বলেন। এসময় পিন্টুর ছেলে আবু রাসেল স্বপন পেছন থেকে ধারালো কাঁচি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে সাংবাদিক ফজলুর রহমানের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ওই রাতেই তার চাচা মোস্তফা কামাল বাদি হয়ে পিন্টু ও তার ছেলে স্বপনকে অভিযুক্ত করে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় মামলা করেন। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকরাম হোসেন পিন্টু বলেন, দোকান বাঁকির টাকা আদায় করাকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা ঘটেছে। তারা আমার দোকানে এসে হামলা এবং আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করলে এলাকাবাসী তাদের উপর চড়াও হয় এবং এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতরি ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল আফতাব খান সুইট বলেন, একজন সাংবাদিককে এভাবে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এর সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করছি। বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওই বিষয়ে উভয়পক্ষই অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।