২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:৪৭:৩৬ অপরাহ্ন


শেষ সম্বল বাড়ি জমি দখলদারদের কবলে, ন্যায় বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন রিনা বেগম
নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৩-২০২৩
শেষ সম্বল বাড়ি জমি দখলদারদের কবলে, ন্যায় বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন রিনা বেগম শেষ সম্বল বাড়ি জমি দখলদারদের কবলে, ন্যায় বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন রিনা বেগম


রাজশাহীতে শেষ সম্বল পৌনে পাঁচ কাঠা বাড়ি জমি দখল করে নিয়েছে দখলদাররা। এরপর টানা ১৩ বছর সরকারী জমিতে বসবাস করছেন রিনা বেগম নামের এক অসহায় নারী। বাসা বাড়িতে কাজ করেন তিনি। আর অবসর সময়ে জমি ও বাড়ি ফিরে পেতে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের দারস্থ হন। আর্জি জানান, ন্যায় বিচারের। তিনি আশাবাদি তার ক্রয়কৃত নায্য জমি ফিরে পাবেন একদিন। 

ভুক্তভোগী মোসাঃ রিনা বেগম (৩২), তিনি রাজশাহী নগরীর উপকন্ঠ দামকুড়া থানার জাঙ্গাল পাড়া গ্রামের মোঃ মাহবুল হেসেনের স্ত্রী।

তিনি জানান, ২০১১ সালে পবা থানার হরিপুর মৌজা, আরএস দাগ নং-৩৪৮২, খতিয়ান নং-২২৪৬, রকম ধানী, জমির পরিমান .২৪০০কাতে .০৮০০একর। ২নং রেজিস্ট্রার অনুযায়ী হোল্ডিং নং- ২২৯২। 

মোসাঃ ফাতেমা খাতুন অরফে কানিজ ফতিমা কাছ থেকে জমিটি ক্রয় করেন। বিক্রেতা একই থানা ও গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের মেয়ে।

তিনি আরও জানান, কানিজ ফতিমা বিক্রয়ের জমি বুঝিয়ে আমাকে ২০১১ সালে বুঝিয়ে দেন। এরপর সেই জমিতে টিন দিয়ে ৩টি ঘর নির্মান করি। 

২০১২ সালে অর্থাৎ জমি বিক্রয়ের ১বছর পর কানিজ ফাতেমা নিরুদ্দেশ হয়ে যান। কোথায় আছেন তা গ্রামের কেউ বলতে পারেন না। এমনকি তার ভাই বোনেরাও বলেন না কানিজ ফতিমা খবর। 

এরপর ২০১২ সালে কানিজ ফতিমার ভাই রজব, দুই বোন আঞ্জুয়ারা, তারা, সুফিয়া ও সুফিয়ার ছেলে নাহিদ জোরপূর্বক আমাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতণ করে জমি-সহ বাড়িটি দখল করে নেয়। পরে ওই গ্রামের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণের কাছে একাধিকবার বিচার প্রার্থী হই। কিন্তু দখলদাররা চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের ফয়সালা বারবারই উপেক্ষা করেন। দখল ছাড়েননি বাড়ি ও জমির। সর্বশেষ চেয়ারাম্যান ও মেম্বাররা উভয়পক্ষকে নিয়ে কাউন্সিল বোর্ডে একটি ফয়সালা দেন। সেই ফয়সালাও তারা উপেক্ষা করেন। 

ভুক্তভোগী রিনা বেগম, সম্প্রতী (২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩) তার ক্রয়কৃত জমিতে গেলে দখলদাররা রিনা বেগমকে মারমুখি আচারণ করে এবং জমিতে গেলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। এ ব্যপারে ওই দিনই দামকুড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন রিনা বেগম।

বর্তমানে সর্বস্ব পুঁজি দিয়ে ক্রয়কৃত জমি ও বাড়ি হারিয়ে সরকারী জমিতে বসবাস করছেন রিনা বেগম। প্রতিকার পেতে সমাজের নামি দামি লোকজনের দারস্থ হচ্ছেন। কিন্তু কোন ভাবেই শেষ সম্বলটুকু ফিরে পাচ্ছেন না তিনি। তারপরও তিনি আশাবাদি, ন্যায় বিচার নামের সোনার হরিণ হয়তো কোন একদিন মিলবে।