২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৬:১৫:৩৮ পূর্বাহ্ন


প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় নারী সহকর্মীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০২-২০২৩
প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় নারী সহকর্মীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় নারী সহকর্মীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা


প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় এবং উত্তক্তের কারণে চাকুরিচ্যুত হওয়ার ক্ষোভে পোশাক কারখানার এক নারী সহকর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সহকর্মীর বিরুদ্ধে। ঘাতক ওই যুবককে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার একটি গলিতে।

নিহত ব্যাক্তি হলেন, নীলফামারির সৈয়দপুর উপজেলার দক্ষিণ নিয়ামতপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের মেয়ে তানজিলা আক্তার ওরফে তমা (১৮)। তিনি চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় টিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় হেলপার হিসাবে কাজ করতেন। গ্রেপ্তারকৃত মো. ফয়সাল (২২), বাগেরহাট সদর থানার পাতিলাখালী এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের ছেলে ।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার টিএম ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় তানজিলা আক্তার ও ফয়সাল হেলপার হিসাবে কাজ করতেন। তাজিলা চান্দনা চৌরাস্তা বনরুপা এলাকার বারী প্রফেসারের বাড়িতে আর ফয়সাল একই এলাকায় ইমরুলের বাড়িতে ভাড়া পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন। একই কারখানায় কাজের সুবাদে ফয়সাল বিভিন্ন সময়ে কারখানায় যাতায়াতের সময় তানজিলাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন এবং নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। গতবছরের ডিসেম্বর মাসে কারখানার ভিতরেই তাকে উত্ত্যক্ত করায় বিষয়টি কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানায় তানজিলা। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিচ্যুত করে।

এরপর থেকে ফয়সাল কোনো কাজকর্ম না করে এলাকায় বখাটেদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে ঘুরে বেড়াতো। তানজিলা কাজে যাওয়া আসার পথে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। গত রোববার রাত ৮ টায় কারখানা কাজ শেষে বের হয়ে পায়ে হেটে বাড়ির দিতে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ফয়সার তার গতিরোধ করে। এসময়ে উভয়ে মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। একপযায়ে ফয়সাল একটি ধারালো চাকু দিয়ে তার পেটের ছুরিকাঘাত করে। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এছাড়া এলাকাবাসী ফয়সালকে আটক করে গণধোলায় দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

নিহতের মা ময়না আক্তার বলেন, তার মেয়েরে অনেক দিন ধরে বিরক্ত করতো আর কুপ্রস্তাব দিতো। কারখানায় কাজ করার সময়ও এমন করতো। পরে মেয়ে কারখানার বিচার দিলে ওই ছেলের চাকরি চলে যায়। সেই আক্রুশের আমার মেয়েরে ও মেরে ফেলছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সানোয়ার জাহান জানান, প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়া এবং উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার আসামীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সুস্থ্য হলে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে। এঘটনায় নিহতের মা ময়না আক্তার বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।