২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:০৩:৪৫ অপরাহ্ন


রাজশাহীতে পিওন থেকে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক আকলু!
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০২-২০২৩
রাজশাহীতে পিওন থেকে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক আকলু! রাজশাহীতে পিওন থেকে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক আকলু!


রাজশাহী মহানগরীতে পিওন থেকে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক বনে গেছেন এক ব্যক্তি। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম মোঃ মজলুর রহমান অরফে মিজানুর রহমান মিজান অরফে আকলু। তিনি মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা।

স্থানীয় জনৈক লিটন জানান, খালি হাত পা নিয়ে চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে এসেছিলেন আকলু। জাইগির থাকতেন মানুষের বাড়িতে। একসময় রাজশাহী জিপিওতে চাকরি পান তিনি। এরপর অজানা কোন অয়ের উৎস থেকে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক বনে যান তিনি। সেই সাথে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে নানামুখি কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং অর্থের যোগানদাতা বলেও জানান তিনি। 

তার নানামুখী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী দুদক ও র‌্যাব-৫-সহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা বরাবর গণস্বাক্ষর সম্মেলিত একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

অভিযোগের বরাত দিয়ে জানা যায়, মোঃ মজলুর রহমান অরফে মিজানুর রহমান মিজান অরফে আকলু রাজশাহী জিপিও অফিস সহায়ক পদে কর্মরত ছিলেন বর্তমানে পদন্ননি পেয়ে পোষ্ট অপারেটর পদে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বর্তমানে সাইরগাছা জামে মসজিদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অল্প সময়ের ব্যবধানে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন তিনি। নিজ এলাকায় অসৎ কর্মকান্ডে জড়িত হয়ে ২টি তিনতলা ভবন ও ২টি একতলা ভবনের মালিক হয়েছেন। তার বসবাসের জন্য রাজধানী ঢাকায় বিলাসবহুল বাড়িও রয়েছে। তার সেই বাড়িতে ছোট মেয়ে, বড় মেয়ে ও জামাই বসবাস করেন। এসব কর্মকান্ড এলাকাবাসীর নজরে আসে। তিনি রাজশাহী শহরে জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন কর্মকান্ডে অর্থ সহযোগীতা করেন। ২০১৮ সালে রাসিক নির্বাচনের ৩দিন আগে তাকে কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ জামায়াতের নাশকতা কর্মকান্ডের জন্য আটক করেন। পরে তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন। ইতিপূর্বে তিনি দুদকের মামলায় অভিযুক্ত হন। তারপরও তিনি দাপটের সাথে নিজ এলাকায় অসৎ কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। এছাড়াও তিনি তার মেয়ে ও জামাতাকে বিপুল অর্থের বিনিময়ে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিতে যোগদান করিয়েছেন। একই কায়দায় তার বড় ছেলেকে শিক্ষা মন্ত্রানালয়ে চাকরি নিয়ে দিয়েছেন। তিনি তার এসব কর্মকান্ডের প্রলোভন দেখিয়ে এলাকার মানুষের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টাও করেছেন। এলাকাবাসী তার সার্বিক কর্মকান্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে দুদক-সহ একাধিক সরকারী দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ব্যপারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে, মোঃ মজলুর রহমান অরফে মিজানুর রহমান মিজান অরফে আকলু জানান, কাশিয়াডাঙ্গা থানার শাহিরগাছা জামে মসজিদেও সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ওই এলাকায় আমার বাড়ি রয়েছে। তবে একাধিক বাড়ি নয়। ঢাকার বাড়িটি মেয়ের শ্বশুর বাড়ি। এছাড়া অফিসের ব্যস্ততার কথা জানিয়ে বলেন, আপনার সাথে কাল সাক্ষাতে পরে কথা বলবো।