২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:২৯:০৫ অপরাহ্ন


নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে কলেজ ছাত্রীকে টানা চারদিন ধর্ষণ
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০২-২০২২
নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে কলেজ ছাত্রীকে টানা চারদিন ধর্ষণ ফাইল ফটো


রাজধানীর আলোচিত গণধর্ষণের শিকার তরুণীকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে আটকে রাখা হয়। পরে তার ওপর অভিযুক্তরা নির্যাতন ও ধর্ষণ চালায়।

চারদিন টানা গণধর্ষণ করে সর্বশেষ গতকাল বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে অসুস্থ অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে একজন ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় ওই তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। ইতোমধ্যে বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত মো. মনির হোসেন শুভকে (২২) আটক করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কারওয়ান বাজারে অবস্থিত র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে চার দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের ঘটনা প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র‌্যাব-৩ এর একটি দল গতরাতে রাজধানীর চকবাজার থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আলোচিত ধর্ষণের প্রধান অভিযুক্ত মো. মনির হোসেন শুভকে আটক করে।

ভিকটিমের অভিযোগে সূত্রে জনা যায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক সকাল ১০টায় ওই তরুণী প্রাইভেট পড়তে শিক্ষকের বাসায় যাচ্ছিলেন। এ সময় পথে লালবাগ কেল্লার মোড়ে শুভ ও আলামিন তার মুখে রুমাল চেপে রিকশায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তারা তাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে চার দিন আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে অসুস্থ অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে একজন পথচারী তাকে টিএসসি থেকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার জানায় যে, সে বর্তমানে বিবিএ শিক্ষার্থী। জিজ্ঞাসাবাদে সে দাবি করেছে ভিকটিমের সঙ্গে গত এক মাস আগে লালবাগের একটি বাসায় তার এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয়। আটকের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান বলেও তিনি জানান।

রাজশাহীর সময় /এএইচ