২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০১:৫২:১০ পূর্বাহ্ন


হৈমন্তীর মেয়ের মডেলিং থেকে উত্থান
তামান্না হাবিব নিশু :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০২-২০২৩
হৈমন্তীর মেয়ের মডেলিং থেকে উত্থান হৈমন্তীর মেয়ের মডেলিং থেকে উত্থান


বৃহস্পতিবার আলিপুর কোর্ট থেকে জেল হেফাজতে যাওয়ার সময়ে বোমাটা ফাটিয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতিতে এক মহিলার নাম করেছিলেন কুন্তল। তিনি গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার জানা গেল হৈমন্তী আসলে হাওড়ার মেয়ে।

তাঁর বাড়ি হাওড়ার উত্তর বাকসাড়ায়। তিন তলা বাড়ি। ওই বাড়িতেই থাকেন তাঁর বাবা, মা, ছোট বোন। কিন্তু হৈমন্তী? আশাপাশের লোকজন বলছেন, দিন দশেক আগেও একটি বিলাসবহুল গাড়িতে চেপে বাকসাড়ার এই বাড়িতে এসেছিলেন হৈমন্তী।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের দেখে মেয়ের ব্যাপারে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন তাঁর মা। গেরস্থ বাঙালি মধ্যবিত্ত বাড়ির মহিলারা যেমন হন তেমনই তাঁর পোশাক। একটা ছাপা শাড়ি। গায়ে জড়ানো আঁচল। সেই তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বললেন, ‘ও আর নেই। আমার কাছে ও মরে গেছে। ওদের কারও সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই।’

জানা গিয়েছে, গোপাল দলপতির সঙ্গে এই হৈমন্তীর বিয়ে হলেও বছর তিনেক আগে ডিভোর্স হয়ে যায়। কুন্তল দাবি করেছেন, হৈমন্তীর কাছে নিয়োগ দুর্নীতির বিরাট অঙ্কের টাকা পৌঁছেছিল।

মডেলিং করতেন হৈমন্তী। তাঁর প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, হৈমন্তীর বাবা-মা এলাকায় বলতেন মেয়ে সিরিয়াল, সিনেমা করেন। গভীর রাত পর্যন্ত বাকসাড়ার বাড়ির সামনে বিলাসবহুল সব গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকত বলেও দাবি স্থানীয়দের।

জানা গেছে, হৈমন্তী মুম্বইয়ে একটি সংস্থা চালাতেন। ডালহৌসিতেও তাঁর একটি অফিস রয়েছে। যদিও তা এখন তালাবন্ধ। কুন্তল দাবি করেছেন, উত্তরবঙ্গের এক প্রভাবশালী নেতার পিএ-এর অ্যাকাউন্ট থেকে গোপাল দলপতির অ্যাকাউন্টে ৩৯ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল। সেই টাকা গোপাল ট্রান্সফার করেছিলেন হৈমন্তীর সংস্থার অ্যাকাউন্টে।

প্রতিবেশীরা বলছেন, হৈমন্তীর জীবন যাপন ছিল আড়ম্বরপূর্ণ। কিন্তু তাঁর পরিবারের বাকিরা থাকতেন সাধারণভাবে। এও জানা যাচ্ছে, হৈমন্তী ওই বাড়িতে গিয়ে আলাদা করে দোতলায় নিজের ঘরে থাকতেন। আবার বেরিয়ে যেতেন। এখন সিবিআইয়ের নজরে তিনিই। কবে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায় এখন সেটাই দেখার।