১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৫০:৪০ অপরাহ্ন


গো রক্ষার নামে মুসলিম যুবককে খুন
সুমাইয়া তাবাস্সুম
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০২-২০২৩
গো রক্ষার নামে মুসলিম যুবককে খুন গো রক্ষার নামে মুসলিম যুবককে খুন


রাজস্থান পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে ভরতপুর খুনের ঘটনায় আটজনের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের সন্দেহভাজন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এর বাইরেও অন্তত এক ডজন সন্দেহভাজন রয়েছেন। মনু মানেশ্বার ও লোকেশ সিংলাকেও সন্দেহের বাইরে রাখা হচ্ছে না। রাজস্থান থেকে তুলে নিয়ে এসে হরিয়ানায় দুজন মুসলিম ব্যক্তিকে খুনের ঘটনার জেরে এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। 

পুলিশ জানিয়েছে, আহত অবস্থায় জুনায়েদ ও নাসির প্রায় ১৬ ঘণ্টা অভিযুক্তদের সঙ্গেই ছিলেন। অভিযুক্তরা তাদের দুটি থানায় নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাদের পরিস্থিতি দেখে পুলিশ নিতে চায়নি। রাজস্থান পুলিশ বুধবার জানিয়েছে, ৯জন অভিযুক্ত ব্যক্তি অপহরণ করে জুনায়েদ ও নাসিরকে নিয়ে এসেছিল। তারপর তাদের উপর হামলা চালানো হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের দুটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও তাদের রাখা হয়নি।

বৃহস্পতিবার ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ গৌরব শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, তদন্তে নেমে নানা সোর্স থেকে আমাদের কাছে অন্তত এক ডজন নাম এসেছে। সোর্স বলতে একাধিক এফআইআরও তার মধ্যে রয়েছে। মনু মানেশ্বর, লোকেশ সিংলা, অনিল মুলতান, রিঙ্কু সাইনি, সহ কয়েকজনের নামও উঠে আসছে। 

এদিকে পুলিশ জানিয়েছেন অনেকের কাছ থেকেই ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। আরও প্রমাণ পেলে সেই অভিযুক্তদের নামও প্রকাশ করা হবে। তবে এখনই তাদের নাম বাইরে বলে দিলে তদন্ত প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হবে। একেবারে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত চলছে।

এদিকে ওই দুই মুসলিম যুবকের খুনের ঘটনায় দেখা যাচ্ছে হরিয়ানার অন্তত দুটি থানায় তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের থানায় রাখতে চায়নি পুলিশ।

দুটি গোরক্ষা বাহিনীর লোকজন এর পেছনে রয়েছে বলে তদন্তে উঠে আসছে।একটি দল কর্নল থেকে অপর দলটি ভিওয়ানি থেকে। রাজস্থান পুলিশ এনিয়ে তথ্য় জোগাড় করছে। 

তবে গরুগুলো কোথায় গেল এনিয়ে গো রক্ষকরা বুঝতে পারছিল না। সেকারণে সকাল সোয়া ৬টায় তারা ঝিরকা থানায় আহতদের নিয়ে গিয়েছিল। পুলিশ তাদের কথা শুনতে চায়নি। মোটামুটিভাবে রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এদিকে গোরক্ষকদের এই তাণ্ডবের অভিযোগ প্রসঙ্গে রাজস্থানের মুখ্য়মন্ত্রী অশোক গেহলট জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা গ্রেফতার হবেই। এটা দুঃখের আর নিন্দার ঘটনা। বজরং দল আর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নাম করে যে দুষ্কৃতীরা কাজ করছে তারা অসৎ লোক। প্রধানমন্ত্রী নিজেও জানিয়েছেন, এরা অসামাজিক লোক। হিন্দুস্থান টাইমস্ বাংলা।