শরীরী আবেদনে কে কাকে টেক্কা দেবে তা নিয়ে চলছে জোর টক্কর। যে কোনও উপায়েই হোক যৌন আবেদনময়ীর তকমা লাগাতেই হবে। খুল্লামখুল্লা পোশাকে যৌনতার উঁকি এ যেন বলিউডের ট্রেন্ড। বক্ষ বিভাজিকা, নিতম্ব উন্মুক্ত করেই নেটপাড়ায় ঝড় তুলছেন বলি সেলেবরা। বর্তমানে বি-টাউনে ন্যাচারাল বিউটির সংখ্যা প্রায় হাতে গোনা। যত দিন যাচ্ছে ততই যেন কৃত্রিম সুন্দরের প্রতি চাহিদা বাড়ছে। কখনও নোজ জব তো কখনও লিপ জব, কখনও আবার ব্রেস্ট সার্জারি। নিজেক সুন্দর রাখতে অনেক কিছুই পাল্টে ফেলছেন তারকারা। বলিউডে প্লাস্টিক সার্জারির চল বহু দিন ধরেই চলেছে। টিনসেল টাউনের একাধিক অভিনেত্রীরাই ছুরি-কাঁচি চালিয়ে সুন্দরের প্রতিযোগিতায় নিত্যদিন দৌঁড়ে চলেছেন। হলিউডের মতোই প্লাস্টিক সার্জারির পথে হাঁটছে বলিউডও। প্রাণের চিন্তা না করেই অস্ত্রোপচার করে আরও সুন্দর হচ্ছেন তারকা। তেমনই আবার অস্ত্রোপচার না করেও নানা কটুক্তির মুখে পড়তে হয়েছিল অভিনেত্রী হনসিকা মোটওয়ানিকে।
তাড়াতাড়ি বড় হয়ে উঠার জন্য নাকি অভিনেত্রীর মা হরমোন ইঞ্জেকশন দিত হনসিকাকে। এমন কথা একটা সময় শুনতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। কিছুদিন আগেই সেদিনের ছোট্ট মেয়েটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তার বিয়ের প্রতিটা মুহূর্কে ডিজনি প্লাস হটস্টারে হনসিকা স লাভ শাদি ড্রামা শো-তে দেখানো হয়েছে। এবার দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা চর্চা নিয়ে মুখ খুলসেন দক্ষিণী তারকা। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে যোগ্য জবাব দিলেন অভিনেত্রী। হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় শিশুশিল্পী হনসিকা হনসিকা স লাভ শাদি ড্রামা শো-এর দ্বিতীয় এপিসোডে জানান, ২১ বছর বয়সে তাকে শুনতে হয়েছিল হঠাৎ করে বেড়ে ওঠার জন্য নাকি তার মা তাকে হরমোন ইঞ্জেকশন দিতেন। এমনকী এই খবর প্রকাশিত হয়েছিল। হংসিকা জানান, এটা পুরোপুরি গুজব, তবে সেটা বলার মতো অবস্থা ছিল না সেই সময়। কিন্তু এখন তিনি অনায়াসেই এর জবাব দিতে পারেন।
এই বিষয়ে জবাব দিতে গিয়ে ব্যঙ্গ করেই অভিনেত্রীর মা বলেন, এমন কোনও রহস্য জানা থাকলে তিনি টাটা-বিড়লাদের মতো বড়লোক হয়ে যেতেন। হনসিকার মা আরও বলেন, এটা যারা বলেছেন তারা হয়তো জানেন না পাঞ্জাবিদের ১২-১৬ বছরের মধ্যে গ্রোথ অনেক বেশি হয়, যেমনটা হনসিকারও হয়েছিল। ছোটবেলা থেকেই ভীষণ জনপ্রিয় শিশুশিল্পী হিসেবে পরিচিত হনসিকা। প্রথমে সাকা লাকা বুম বুম, দেশ মে নিকলা হোগা চাঁদ ধারাবাহিকে অভিনয় করে দর্শকদের মন জিতে নিয়েছিলেন। তারপরই শিশুশিল্পী হিসেবে কোয়ি মিল গ্যায়া, হাম কৌন হ্যায়, আবরা কা ডাবরা ছবিতে অভিনয় করে সকলের মন জিতে নিয়েছিলেন হনসিকা। তবে বলিউডে নয় বরং তেলেগু সিনেমা দেশামুদুরু-র মাধ্যমেই নায়িকা হিসেব সফর শুরু করে হনসিকা। এবং এই সিনেমার দন্য দক্ষিণের সেরা নবাগতা নায়িকা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পান হনসিকা। তারপর বলিউডের স্বনামধন্য গায়ক হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে আপকা সুরুর ছবিতে অভিনয় করেন হনসিকা। তবে বক্স অফিসে ছবি ব্যবসা করতে পারেনি। তারপর আর বলিউডে নয় বরং বলিউড থেকে সরে এসে দক্ষিণী সিনেমাতেই মন দিয়ে কাজ শুরু করেন হনসিকা। এবং তামিল, তেলেগু, মালায়ালম, কন্নড় ছবিতে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন হনসিকা। আপাতত বিয়ে করে চুটিয়ে সংসার করছেন অভিনেত্রী।