২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:২৭:২৫ অপরাহ্ন


পুকুর খনন করতে হলে উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে- এডিসি আনিসুল
ফরিদ আহমেদ আবির, দুর্গাপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০২-২০২৩
পুকুর খনন করতে হলে উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে- এডিসি আনিসুল পুকুর খনন করতে হলে উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে- এডিসি আনিসুল


তিন ফসলী জমিতে পুকুর খনন বন্ধে মাছচাষী ও কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার কিসমত গণকৈড় ইউনিয়ন ও নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় পৃথক মতবিনিময় সভা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) আনিসুল ইসলাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানার সভাপতিত্বে কিসমত গনকৈড় ইউনিয়নের উজালখলসী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলা ১২টার সময় ও নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুপুর ২টায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

মতবিনিময় সভায় মাছচাষী ও কৃষকরা সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মাছচাষী ও কৃষকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, ইতিপূর্বে আবাদি জমিতে পুকুর খননের ফলে অনেক জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া তিন বছর পর পর পুকুর সংস্কারের প্রয়োজন পড়ে। জলাবদ্ধতা নিরসন না করা হলে এবং পুকুর সংস্কার না করা গেলে মাছচাষ ব্যহত হবে। প্রয়োজনে সরেজমিনে তদন্ত করে পুকুর খননের অনুমতি দিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।

সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী কোনো তিন ফসলী, দু-ফসলী জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে পুকুর খনন করা যাবে না। 

তিনি আরও বলেন, যদি কোনো জমিতে পুকুর খননের একান্ত প্রয়োজন হয় তার জন্য জলাবদ্ধ জমির ছবি ও ভিডিও করে আবেদন করতে হবে। উপজেলা প্রশাসন তা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানাবেন। 

প্রধান অতিথি বক্তব্যের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনিসুল ইসলাম বলেন, কোনো অবস্থাতেই তিন ফসলী জমিতে পুকুর খনন করা যাবেনা। তবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কোন জমিই পতিত ফেলে রাখা যাবে না। জমি গুলো অবশ্যই ফসল উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। 

মাছচাষীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যদি আপনারা দেখেন যে কোনো অবস্থাতেই পুকুর খননের বিকল্প নেই তাহলে আপনারা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আবেদন করবেন। 

তবে তিনি একথাও বলেন, যেগুলো খতিয়ানে পুকুর হিসেব উল্লেখ আছে সেগুলো নিয়ম মেনে সংস্কার করা সম্ভব। 

জলাবদ্ধ জমির মালিক সেলিম রেজা বলেন, আমার প্রায় ১১ শতাংশ জমি ৭/৮ বছর ধরে পতিত পড়ে রয়েছে। সেখানে পুকুর খনন ছাড়া বিকল্প উপায় নেই। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উজালখলসী ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াহেদ, ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারি কর্মকর্তা মঞ্জুর রহমান, কিসমত গনকৈড় ইউনিয়ন বিট পুলিশের এসআই আব্দুর রাজ্জাক, কিসমত গনকৈড় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উজালখলসী উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক আব্দুল মজিদ, সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, ফারুক সরকার, সেলিম রেজা, সীমা খাতুন, মুন্জুয়ারা, সোহরাব হোসেন, কিসমত গনকৈড় ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মেরিনা পারভীন, ইউপি সদস্য আকরাম আলী,  ইউপি সদস্য ওয়াজেদ মিয়া। উজাল খলসী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মনসুর রহমান সরকার,

অপর মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম শফি, নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জসীম উদ্দীন,  সংরক্ষিত মহিলা সদস্য বেদেনা বেগম, সাদিয়া সুলতানা আখি, মাজেদা বেগম, রুবেল হক, ইসলাম প্রামানিক, আব্দুল মালেক, মোঃ শহিদুল ইসলাম, আজাদ আলী, আবুল কালাম আজাদ, আমজাদ আলী, জয়নাল আবেদীন, আবু সাঈদ  নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সোহরাব শেখ সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, মশিউর রহমান সহকারী শিক্ষিকা রেহেনা পারভীন, গোল নাহার বেগম, বিশিষ্ট মাছচাষী মেহেদি হাসান মিলন সহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।