২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:৩৬:২৩ পূর্বাহ্ন


সারাদিন বসে কাজ করা কতটা ক্ষতিকর জেনেনিন
ফারহানা জেরিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০২-২০২৩
সারাদিন বসে কাজ করা কতটা ক্ষতিকর জেনেনিন ফাইল ফটো


অফিসে অনেকক্ষণ বসে যাদের কাজ করতে হয় তাদের নানান রোগে ভোগার সম্ভবনা বেশি। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে- বর্তমান যুগে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা-ই হচ্ছে অসুস্থ হওয়ার প্রধান কারণ।

আর এই বিষয়ের ওপর স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে দিনের বেশিরভাগ সময় বসে থাকায় কী কী ক্ষতি হচ্ছে সেই বিষয়ে এখানে জানানো হল।

হৃদয়ে সমস্যা: দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করা হৃদপিণ্ডের নানান রোগের জন্য দায়ী। এটা হয় কারণ আমরা যখন বসে কাজ করি তখন শরীর কম চর্বি খরচ করে। ফলে ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের ধমনীতে জমাট বাঁধতে থাকে।

শরীরে ব্যথা: ঘাড়, কাঁধ, নিতম্ব এবং পিঠের ব্যথায় ভুগে থাকলে খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিন। কারণ এই ধরনের ব্যথার প্রধান কারণ হল দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করা।

ক্ষতিকর ভঙ্গীমা: সারাক্ষণ বসে কাজ করলে পিঠে চাপের সৃষ্টি করে। যা স্থূলতার উপর প্রভাব রাখে। যদি সারাদিন বসে কাজ করতে হয় তাদের দেহ কাঠামোতেও খারাপ প্রভাব পড়ে।

মস্তিষ্কের ক্ষতি: অবাক হওয়ার কিছু নেই। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা কেবল শরীরের উপর নয় বরং মস্তিষ্কের উপরও প্রভাব ফেলে।

লস অ্যাঞ্জেলেস’য়ের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়ার করা এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, নিয়মিত দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করা হলে মস্তিষ্কের বিশেষ অংশ যা নতুন স্মৃতি গঠনে সাহায্য করে তা দুর্বল করে দেয়। তাই মস্তিষ্কের ক্ষয় ঘটে।

ওজন বৃদ্ধি: চেয়ারে অনেকক্ষণ বসে থাকলে ওজন বাড়ে। ফলে স্থূলতার সমস্যা দেখা দেয়। যা অনেকটাই দুষ্ট চক্রের মতো।

ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা: কাজ কর্ম কম হয় এমন মানুষদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নওরোজিয়ান ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির করা ‘হান্ট’ গবেষণা থেকে জানা গেছে, শারীরিক কর্মকাণ্ড কম তবে অনেকক্ষণ বসে কাজ করে এরকম ব্যক্তির ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।

অনেকক্ষণ বসে কাজ করলে পায়ের উপর চাপ পড়ে। ফলে শিরা বড় হয়ে যেতে পারে। সেখান থেকে শিরা ফোলা ও ব্যথার সমস্যা হতে পারে।

উদ্বেগ: সারাদিন ধরে যদি চেয়ার টেবিলের সামনে বসে কাজ করতে হয় তাহলে ঘুমের অভাবের কারণে সৃষ্টি হওয়া উদ্বেগ দেখা দিতে পারে।

যা করা উচিত: এই সমস্যার সমাধান খুব সহজ। প্রতি আধা ঘণ্টা পর পর চেয়ার ছেড়ে উঠে একটু হাঁটাচলা করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে হাঁটাচলা অথবা মাঝে মধ্যে দাঁড়িয়ে কাজ করার চেষ্টা করতে পারেন।

ঘাড় ও পিঠের ব্যথার জন্য ৩০ মিনিট পর পাঁচ মিনিটের জন্য বিশ্রাম নিন। এতে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কমে।