২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০১:০৮:০৮ অপরাহ্ন


বগুড়ায় ‘বউমেলায়’ নারীদের ভিড়
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০২-২০২৩
বগুড়ায় ‘বউমেলায়’ নারীদের ভিড় ছবি: সংগৃহীত


বগুড়ার গাবতলীতে উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার মহিষাবান দেউত্তর মধ্যপাড়া ও রানিরপাড়া গ্রামে পৃথক বউমেলা হয়েছে। মেলায় ছিল নানা বয়সী নারীদের ভিড়। এর আগে একই উপজেলায় বুধবার ‘সন্ন্যাসী ও জামাইমেলা’ হয়। 

সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মেলায় গৃহবধূ, তরুণী ও শিশুদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। মেলায় ছিল নানা ধরনের শতাধিক দোকানপাট। তবে মেলার মূল আকর্ষণ ছিল তরুণীদের জন্য কসমেটিকস, গৃহবধূদের জন্য সাংসারিক জিসিনপত্র আর শিশুদের জন্য নাগরদোলা ও বিভিন্ন খেলনা। 

স্থানীয়রা জানান, গাবতলী উপজেলার মহিষাবান দেবউত্তর মধ্যপাড়ায় প্রায় ২৪ বছর আর রানিরপাড়া গ্রামে প্রায় ১৩ বছর ধরে ব্যক্তি মালিকানায় স্বল্প পরিসরে বউমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহজাহান আড়ৎদারের নেতৃত্বে মহিষাবানে বউমেলা শুরু হয়। তার মৃত্যুর পর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম মেলাটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। 

অন্যদিকে রানিরপাড়া গ্রামে যুবলীগ নেতা সুলতান মাহমুদ মেম্বার মেলার নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও এলাকার কিছু ব্যক্তি বউমেলা পরিচালনায় সহযোগিতা করেন। তবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পোড়াদহ মেলার লাইসেন্স লাগলেও বউমেলার কোনও লাইসেন্স বা অনুমোদন থাকে না।

বউমেলায় এসেছেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পান্তাপাড়া এলাকার তরুণী রওশন আরা। তিনি বলেন, ‘এই মেলায় ক্রেতা-বিক্রেতা নারী হওয়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারছি।’

উপজেলার কুটামহিন গ্রামের আয়শা বেগম বলেন, ‘প্রতি বছর এই মেলায় এসে কেনাকাটা করি।’

বউমেলার দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা সুলতান মাহমুদ মেম্বার জানান, ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতি বছরের মতো এবারও মেলার আয়োজন করা হয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই একদিনের মেলা শেষ হয়েছে।

গাবতলী থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, পোড়াদহ জামাইমেলার পরদিন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বউমেলা হয়ে আসছে। স্থানীয়রা এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলেন।