নওগাঁর মহাদেবপুরে স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ নারীসহ দুজনকে আটক করেছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে পরকীয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মুর্শিদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
জানা যায়, শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার থেকে বাবার বাড়িতে ফেরার আকুতি জানিয়ে মায়ের সঙ্গে একদিন আগেও শেষ কথা বলেছিলেন মুর্শিদা। চলছিল মেয়েকে আনতে যাওয়ার প্রস্ততিও। এরই মাঝেই প্রতিবেশীর মাধ্যমে মেয়ের মৃত্যুর খবর আসে বাড়িতে। একমাত্র মেয়ের অকালমৃত্যুর খবরে থামছেই না স্বজনদের কান্না।
নিহত মুর্শিদার স্বজনরা জানান, নওগাঁর মহাদেবপুরের জন্তিগ্রামে গিয়ে আমরা দেখতে পাই বারান্দায় পড়ে আছে মুর্শিদার নিথর দেহ। মুর্শিদার মৃত্যুর পর পালিয়েছেন তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি।
প্রতিবেশীরা জানায়, মুর্শিদা আত্মহত্যা করেছে এমন খবর দিয়ে গা ঢাকা দেয় শাহিদুল ও তার পরিবার। পরে তারা মেয়ের পরিবারে খবর দিয়ে ডেকে নেয় স্বজনদের।
এলাকাবাসী জানায়, মুর্শিদার স্বামী শাহিদুলের সঙ্গে প্রতিবেশী এক নারীর পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে মাঝেমধ্যে ঝগড়া হতো তাদের। বুধবার রাতে এ বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মুর্শিদাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। জানা যায়, দু’বছর আগে পার্শ্ববর্তী জন্তিগ্রামের শাহিদুলের সঙ্গে বিয়ে হয় মুর্শিদার।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, ঘটনার পর পুলিশ মুর্শিদার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। আর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে মুর্শিদার স্বামী শাহিদুল।
এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে মহাদেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের পিতা। নিহত মুর্শিদার ৭ মাস বয়সি একটি শিশু সন্তান রয়েছে।
