২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০২:৫১:৩২ অপরাহ্ন


পিএসসির নন-ক্যাডারে ২,৯৫৩ জনের চাকরির সুযোগ
চাকরি ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০২-২০২৩
পিএসসির নন-ক্যাডারে ২,৯৫৩ জনের চাকরির সুযোগ ফাইল ফটো


বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) একাধিক নন-ক্যাডার পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। পিএসসির মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে ২ হাজার ৯৫৩ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে তিনটি ৬ষ্ঠ গ্রেড, একটি ১১তম গ্রেড ও বাকি পদগুলো ১০ম গ্রেডের। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।


যেসব পদে নিয়োগ

২ হাজার ৯৫৩ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ২ হাজার ৩৬৭ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স। এ পদে আবেদনের জন্য নার্সিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা ইন নার্সিং বা ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি সার্টিফিকেট এবং বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের নিবন্ধন থাকতে হবে। কারা অধিদপ্তরে নেওয়া হবে ৫৫ জন ডিপ্লোমা নার্স। আবেদনের জন্য কোনো ইনস্টিটিউট থেকে নার্সিং ডিপ্লোমা সনদ থাকতে হবে। এ দুই পদে নিয়োগ পেলে বেতন হবে ১০ম গ্রেডে। 

রেল মন্ত্রণালয়ে নেওয়া হবে ৫২ জন উপসহকারী প্রকৌশলী (স্টোর), ৮৫ জন উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ), ২০৫ জন উপসহকারী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল/ ট্রেন এক্সামিনার/ ড্রইং), ৩৫ জন উপসহকারী প্রকৌশলী (ওয়ে), ৩১ জন উপসহকারী প্রকৌশলী (ওয়ার্কস), ১১ জন উপসহকারী প্রকৌশলী (ব্রিজ), ৮ জন উপসহকারী প্রকৌশলী (অ্যাস্টিমেটর), ১৫ জন উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল ড্রইং), ৭১ জন উপসহকারী প্রকৌশলী (সিগন্যাল/ টেলিকমিউনিকেশন), একজন উপসহকারী প্রকৌশলী (অ্যাস্টেট) ও ২ জন উপসহকারী প্রকৌশলী (মেরিন)। এসব পদে আবেদনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে। সব পদ ১০ম গ্রেডের। 

ষষ্ঠ গ্রেডে টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে একজন সুপারিনটেনডেন্ট, শিল্প মন্ত্রণালয়ে একজন উপপ্রধান বয়লার পরিদর্শক ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে একজন উপপরিচালক (আইন) নেওয়া হবে। এ তিন পদে আবেদনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। 

১০ম গ্রেডে পাট অধিদপ্তরে একজন উপসহকারী প্রকৌশলী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে ১০ জন মোটরযান পরিদর্শক এবং ১১তম গ্রেডে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।


আবেদন যেভাবে

শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী এক বা একাধিক পদে আবেদন করা যাবে। একাধিক পদে আবেদন করলে প্রতিটি পদের জন্য আলাদা নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে। প্রার্থীদের টেলিটকের ওয়েবসাইট অথবা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত আবেদনপত্র অ্যাপ্লিকেন্টস কপি (বিপিএসসি ফরম-৫-এ) পূরণ করে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ও ফি জমাদান সম্পন্ন করতে হবে।

ওয়েবসাইটে নন-ক্যাডার অপশনে ক্লিক করলে নন-ক্যাডার বিভিন্ন পদের বিজ্ঞপ্তি, আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ, এসএমএসের মাধ্যমে ফি জমাদান ও প্রবেশপত্র প্রাপ্তিসংক্রান্ত নির্দেশাবলির রেডিও বাটন দৃশ্যমান হবে। ফরম পূরণের আগে অবশ্যই আবেদনপদ্ধতি, ফি জমাদান ও নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে হবে।


আবেদন ফি

অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ৬ষ্ঠ গ্রেডের পদের জন্য ৬০০ টাকা, ১০ম গ্রেডের পদের জন্য ৫০০ টাকা ও ১১তম গ্রেডের পদের জন্য ৩০০ টাকা টেলিটক প্রিপেইড নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। আবেদনের শেষ সময় আগামী ৭ মার্চ।


প্রার্থী বাছাই যেভাবে

১০ম ও ১১তম গ্রেডে কারিগরি বা পেশাগত পদে আবেদনকারীর সংখ্যা ১ হাজার জনের বেশি হলে প্রথমে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ ধরনের বাছাই পরীক্ষা নেওয়া হবে। এমসিকিউ পরীক্ষায় বাংলায় ২০ নম্বর, ইংরেজিতে ২০, সাধারণ জ্ঞানে ২০ ও বিষয়ভিত্তিক ৪০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর বরাদ্দ। ভুল উত্তরের জন্য ০ দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা। বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষায় বাংলায় ৪০ নম্বর, ইংরেজিতে ৪০, সাধারণ জ্ঞানে ৪০ ও বিষয়ভিত্তিক ৮০ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। ৪ ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। আবেদনকারীর সংখ্যা ১ হাজার জন বা কম হলে শুধু ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে।

সাধারণ পদের ক্ষেত্রেও আবেদনকারীর সংখ্যা ১ হাজার জনের বেশি হলে প্রথমে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ ধরনের বাছাই পরীক্ষা নেওয়া হবে। এমসিকিউ পরীক্ষায় বাংলায় ২৫ নম্বর, ইংরেজিতে ২৫, সাধারণ জ্ঞানে ২৫ এবং গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞান বিষয়ে ২৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষায় বাংলায় ৫০ নম্বর, ইংরেজিতে ৫০, সাধারণ জ্ঞানে ৪০ এবং গণিত ও মানসিক দক্ষতা থেকে ৬০ নম্বরের প্রশ্ন আসে। 

ষষ্ঠ গ্রেডের পদে আবেদনকারী প্রার্থীদের শুধু ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। তবে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হলে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাছাই বা লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হতে পারে।