২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:৪৩:৩৪ পূর্বাহ্ন


৯২হাজার পিস ইয়াবা-সহ শীর্ষ ৩জন মাদক কারবারি র‌্যাব- ৫, এর জালে
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০২-২০২৩
৯২হাজার পিস ইয়াবা-সহ শীর্ষ ৩জন মাদক কারবারি র‌্যাব- ৫, এর জালে ৯২হাজার পিস ইয়াবা-সহ শীর্ষ ৩জন মাদক কারবারি র‌্যাব- ৫, এর জালে


দিনাজপুরে ৯২হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৩ জন শীর্ষ মাদক কারবারি গ্রেফতার করেছে  র‌্যাব-৫, জয়পুরহাট।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৪টায় দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানাধীন প্রস্তমপুর ফকিরপাড়া এলাকার কুখ্যাত মাদক কারবারি মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারিরা হলো: মোছাঃ শাহনাজ পারভীন, সিদ্দিক আলী শাহ ও মোছাঃ সেলিনা আক্তার রুপালি। তবে কুখ্যাত মাদক কারবারি মোঃ মোশাররফ হোসেন ও তার শশুর র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে ভুট্টার ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে পালিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) র‌্যাব-৫, এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

র‌্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাকৃতরা জানায় মোশাররফ হোসেন ও তার স্ত্রী মোছাঃ শাহনাজ পারভীন দিনাজপুর জেলার বিরামপুর পৌরসভার প্রস্তমপুর ফকিরপাড়ার কুখ্যাত মাদক কারবারি পরিবার। তারা কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থেকে ইয়াবার বড় বড় চালান সংগ্রহ করে দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে নিয়ে আসে। পরে সুযোগ বুঝে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তা সরবরাহ করে। ইতিপূর্বে ইয়াবার অনেক বড় বড় চালান নিয়ে আসার সময় বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছে। 

এরপর সে তার কৌশল পালটায় এবং টেকনাফ থেকে সমুদ্র পথে পার্শ্ববর্তী দেশ হয়ে সোনা মসজিদ ও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে তার নিজ বাড়িতে ইয়াবার চালান নিয়ে এসে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে। এছাড়াও সে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে বড় বড় ইয়াবার চালান বাংলাদেশে নিয়ে আসতো বলে তার স্ত্রী স্বীকার করে।

মোশাররফ ও তার স্ত্রী এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মূলহোতা। এছাড়াও অভিযুক্ত মোঃ মোশাররফ এর শশুর মোঃ বিপ্লব হোসেন দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার কুখ্যাত মাদক কারবারি। সে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। সে ইয়াবার চালান নিয়ে এসে তার নিজ বাড়ি ও তার শশুরবাড়িতে আন্ডারগ্রাউন্ড করে অভিনব কায়দায় সংরক্ষণে করে। পরে সেই মাদক অন্যান্য কারবারিদের কাছে সরবরাহ করে।

র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারিরা নিজ এলাকার চিহ্নিত শীর্ষ মাদক কারবারি। তাদেরকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে মাদক উদ্ধার অভিযান নীতি অব্যাহত থাকবে। 

এই ধরনের অপারেশনের মাধ্যমে র‌্যাব-৫, রাজশাহী তথা সিপিসি-৩ (জয়পুরহাট) এর ভূমিকা সর্বমহলে ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

গ্রেফতার আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানায় একটি মামলা রুজু  হয়েছে বলেও জানায় র‌্যাব।