২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০১:৩২:৫৬ পূর্বাহ্ন


ফেসবুকে প্রেম: অতপর; বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকা ভাগিয়ে নিয়ে বিক্রি!
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০২-২০২৩
ফেসবুকে প্রেম: অতপর; বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকা ভাগিয়ে নিয়ে বিক্রি! ফেসবুকে প্রেম: অতপর; বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকা ভাগিয়ে নিয়ে বিক্রি!


ফেসবুকের প্রেম নাবালিকা তরুণীর সাথে নাবালক প্রেমিকের। এরপর প্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে করে দিয়েছে প্রেমিক।

এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন পুলিশ জেলার ঢোলা থানায়। পরে পুলিশ কলকাতার ধর্মতলা থেকে উদ্ধার করেছে ওই নাবালিকাকে। পাশাপাশি, ওই কাণ্ডে সোনাগাছির এক যৌনকর্মী এবং ওই প্রতারক প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাবালিকাকে যিনি কিনেছিলেন তাঁকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

ঢোলা থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় নাবালক। এর পর তাকে নিয়ে চম্পট দেয় ওই নাবালক। এ ঘটনায় গত (৩১ জানুয়ারি) ঢোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নাবালিকা তরুণীর মা। প্রাথমিক ভাবে অপহরণের মামলা রুজু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে কয়েক দিনের মধ্যেই কলকাতার ধর্মতলা থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে তারা।

মন্দিরবাজারের এসডিপিও বিশ্বজিৎ নস্কর বলেন, ‘‘মেয়েটিকে আমরা কলকাতার ধর্মতলা থেকে উদ্ধার করি। মেয়েটি একটি ছেলের নাম বলে। জানায় যে, সেই ছেলেটি ওকে বিক্রি করে দিয়েছে। সেই নাবালককে গ্রেফতার করে জানতে পারি, ওই কাণ্ডে আরও এক জন জড়িত। তাঁকেও আমরা গ্রেফতার করি।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই নাবালিকাকে বিক্রি করার ঘটনায় জড়িত মেহরানা খাতুন ওরফে তানিয়া নামে সোনাগাছির এক যৌনকর্মীও। তাঁকেও আটক করেছে পুলিশ। নাবালিকাকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ। তিনি আরও জানিয়েছেন, জাইদুল নামে এক ব্যক্তি ওই নাবালিকাকে কিনেছিলেন। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। হুগলির আরামবাগের একটি হোটেলে ওই নাবালিকাকে বিক্রি করা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

ধৃত প্রাপ্তবয়স্ক দুই অভিযুক্তকে মঙ্গলবার হাজির করানো হয় কাকদ্বীপ আদালতে। তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ। কাকদ্বীপ আদালতের সরকারি আইনজীবী সব্যসাচী দাস বলেন, ‘‘ওই নাবালিকাকে বালিগঞ্জের একটি হোটেলে এবং হুগলির আরামবাগের একটি হোটেলে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ এবং পকসো আইনের ধারায় মামলা শুরু করেছে।’’