বক্স অফিসে দুর্বার গতিতে ছুটছে ‘পাঠান’। মুক্তির ১০ দিন পরেও ‘পাঠান’ নিয়ে উন্মাদনায় ভাটা পড়েনি একবিন্দু। শাহরুখ ভক্তদের মুখে জয়ের চওড়া হাসি, স্বস্তিতে খোদ এসআরকে। প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড গড়ছে এই ছবি। রেকর্ড ভাঙাগড়ার এই খেলায় বিশ্ব বক্স অফিসে ইতিমধ্যেই ৭০০ কোটির গণ্ডি পার করে ফেলেছে এই ছবি। অন্যদিকে শাহরুখের কামব্যাক ছবি দেশের বাজারেও সুপারহিট।
শুক্রবার দেশের বাজারে মোট ১৩.৫০ কোটির টিকিট বিক্রি হয়েছে পাঠানের। যার জেরে ভারতে এই ছবির মোট নেট আয় দাঁড়াল ৩৬৪.৫০। শনি-রবিবার ছুটির দিনে ‘পাঠান’-এর কালেকশন লাফিয়ে বাড়বে, আশা বক্স অফিস বিশেষজ্ঞদের। নতুন সপ্তাহে প্রবেশের আগে ৪০০ কোটির দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের এই ছবি। জানেন কি বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার শাহরুখ খানের ছবি দেখতে বাংলার মানুষ দু-হাত খুলে কত টিকিট কেটেছেন?
রিপোর্ট বলছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ‘পাঠান’-এর কালেকশন ১৮.৬৮ কোটি টাকা। হ্যাঁ, আজ অবধি বাংলা ছবির ইতিহাসে ১০ কোটির গণ্ডি পার করেছে মাত্র তিনটি ছবি (পাগলু, আমাজন অভিযান এবং চাঁদের পাহাড়), তবে শাহরুখ-সলমনদের ছবি দেখতে হলে ভিড় উপচে পড়ে পশ্চিমবঙ্গে। তা ফের প্রমাণ করে দিল ‘পাঠান’-এর কালেকশন।
ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ টুইট করেন, ‘পাঠান ৪০০ কোটির ক্লাবের দিকে দ্রুত এগোচ্ছে। দ্বিতীয় সপ্তাহেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, দ্বিতীয় শুক্রবারেও দু-অঙ্কের ঘরে কামাই করেছে এই ছবি’। এদিন দেশের বক্স অফিসে আমির খানের দঙ্গলের লাইফটাইম কালেকশনকে ছাপিয়ে বলিউডের ছবি হিট ছবির শিরোপা পেয়ে যাবে পাঠান। একমাত্র বাহুবলী ২ (৫১০ কোটি) এবং কেজিএফ ২ (৪৩৪ কোটি) এর হিন্দি সংস্করণই এগিয়ে আছে শাহরুখ-দীপিকাদের চেয়ে। আগামী সপ্তাহে এই দুই ছবির রেকর্ডও ভেঙে দেবে শাহরুখের ছবি, আশা বক্স অফিসে এক্সপার্টদের।
মুক্তির দশ দিন পর বিশ্ব বক্স অফিসে এই ছবির মোট গ্রস কালেকশন ৭২৫ কোটি টাকা। শাহরুখ ছাড়াও এই ছবিতে দেখা মিলেছে জন আব্রাহাম, দীপিকা পাড়ুকোন, ডিম্পল কাপাডিয়া এবং আশুতোষ রানার।
‘জিরো’র ব্যর্থতার পর নিজেকে খানিক গুটিয়ে নিয়েছিলেন শাহরুখ। তবে তিনি দেখিয়ে দিলেন, ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’। দর্শকের ভালোবাসাই তাঁর অনুপ্রেরণা, চলতি সপ্তাহের শুরুতে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন বাদশা। তিনি আরও বলেন, ‘গত চার বছরকে ভুলিয়ে দিয়েছে গত ৪ দিন’।
শাহরুখের কথায়, ‘আমরা সত্যি কৃতজ্ঞ দর্শক এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে পাঠানকে এতটা পরিমাণ সমর্থন জোগানোর জন্য। এমন অনেক কিছুই ঘটতে পারত যা এই ছবির আনন্দদায়ক মুক্তিকে সংকুচিত করতে পারতো…. তবে সবদিক থেকে যে ভালোবাসা এসেছে সেটাই আমাদের এই সাফল্য এনে দিয়েছে। এর জন্য আমরা যতই কৃতজ্ঞতা জানাই সেটা কম হবে। আমি আমার সমস্ত সহকর্মীদের তরফ থেকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি দর্শকদের। সিনেমায় আবারও জীবন ফিরিয়ে আনার জন্য ধন্যবাদ'।