২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:৫৫:৪৩ অপরাহ্ন


যেসব কারণে গর্ভবস্তায় নারীদের খাওয়ার রুচি কমে যায়
ফারহানা জেরিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০২-২০২৩
যেসব কারণে গর্ভবস্তায় নারীদের খাওয়ার রুচি কমে যায় ফাইল ফটো


একজন নারীর জীবনে মা হওয়া সবচেয় সুখময় অনুভূতির। তবে একজন নারীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে গর্ভের সন্তান ভূমিষ্ট হওয়া পর্যন্ত সময়টা খুবই জটিল।এ সময় নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।

গর্ভকালে নারীরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ক্ষুধা কমে যাওয়া বা খাওয়ার প্রতি অরুচি। অনেক নারীর মনেই এমন প্রশ্ন আসে যে কেন এমনটা ঘটে। তাই জানুন আর কারণ এবং এ সমস্যা সমাধানে কিছু টিপস—

১. দৈহিক পরিবর্তন: গর্ভকালে নারীদের শরীরে নানান রকম পরিবর্তন হয়ে থাকে। দৈহিক পরিবর্তনের পাশাপাশি হরমোনেও অনেক পরিবর্তন হয়ে থাকে। এ সময় লেপটিন নামক হরমোনের অনেক তারতম্যতা ও হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন (এইচসিজি) নামের হরমোন ক্ষুধার মাত্রা কমিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী। এছাড়া এ হরমোনগুলোর কারণেই গর্ভাবস্থার প্রথম মাসগুলোতে বমি বমি ভাব হয়ে থাকে।

২. বিভিন্ন ওষুধের প্রভাব: গর্ভকালে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেতে হয়। অনেক সময় এসব ওষুধের প্রভাবের কারণে খাওয়ার ধরন পরিবর্তন হতে পারে, বমি ভাব লাগতে পারে, মাথা ঘোরানোসহ ক্ষুধা হ্রাস পেতে পারে। এ কারণে গর্ভকালীন সময়ে চিকিৎকরা একেবারেই জরুরি ছাড়া ওষুধ এড়াতে বলেন।

৩. বমি বমি ভাব: গর্ভকালে নারীদের বমি ভাব হওয়াটা অনেক পরিচিত একটি সমস্যা। সবারই এ সমস্যাটি হয়ে থাকে। আর এটিও কিন্তু ক্ষুধাভাব কমে যাওয়ার ন্যতম একটি কারণ। যেসব নারীদের গর্ভকালীন সময়ে দীর্ঘ সময় বামভাব থাকে তাদের ক্ষুধা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

৪. মানসিক চাপ: গর্ভকালে নারীদের অনেক মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে সময় পার করতে হয়। এ সময়ে মানসিক চাপ ও উদ্বেগের কারণে নারীদের খাবারের প্রতি অনাগ্রহ কাজ করে। এ ছাড়া প্রসব নিয়ে বিষন্নতাও ক্ষুধা হ্রাসের অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করা হয়।

এ ধরনের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিলেও খাবার এড়িয়ে যাওয়া আপনার জন্য অনেক ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ খাবার আপনার শরীরের শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এ সময়ে বমিভাব লাগাটা অনেক স্বভাবিক তাই এটির সমাধানে আপনি প্রচুর পরিমানে জল পান করতে পারেন। এতে আপনার শরীর হাইড্রেট থাকবে এবং এর ফলে আপনার বমিভাব থেকে কিছুটা মুক্তি মিলবে।

আর এসব সমস্যা বেশি মনে হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে সহায়তা নিতে পারেন