২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৪:৩৯:২৩ অপরাহ্ন


স্বস্তি যেন কোন ভাবেই ফিরছে না, মাংসের বাজারে [সাপ্তাহিক বাজারদর]
ইব্রাহীম হোসেন সম্রাট
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০১-২০২৩
স্বস্তি যেন কোন ভাবেই ফিরছে না, মাংসের বাজারে [সাপ্তাহিক বাজারদর] স্বস্তি যেন কোন ভাবেই ফিরছে না, মাংসের বাজারে


শীতকাল অবসর নেওয়ার কাছাকাছি সময়ে চলে আসলেও, বাজার যেন এখনো গরম। শীতকালের ঠান্ডা বাতাসের মতো ঠান্ডা রয়েছে শাক—সবজির দাম তবে গরম রয়েছে মাংসের দাম। বলছি বাংলার জনপ্রিয় খাবার গরুর মাংসের কথা। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) মহানগরীর সাহেব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস গত সপ্তাহের তুলনায় ২০টাকা বেড়ে ৬৮০—৭০০ টাকায় এবং খাসির মাংস ১০৫০—১১০০টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগিতে ১৫টাকা বেড়ে ১৬০টাকা, লাল লেয়ার মুরগিতে ২০টাকা বেড়ে ২৫০টাকা তবে স্বাভাবিক রয়েছে সোনালি ও সাদা লেয়ার মুুরগির দাম। ডিমের দাম গত সপ্তাহের দামেই হালিতে বিক্রি হচ্ছে, লাল ডিম ৪০টাকা, সাদা ডিম ৩৮টাকা, প্যারেন্টস ডিম ৫২টাকা ও কয়েল পাখির ডিম ১২টাকা ।

গত সপ্তাহের মতো এই সপ্তাহে নেই কোন পরিবর্তন মাছের দামে। বলছি মাছের রাজা ইলিশের কথা, থাকে সবসময় ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। বড়:মাঝারি ও ছোট ইলিশের দাম কেজিতে ১২০০:১০০০:৮০০ টাকা। রুই ২২০, ১৮০ ও ১৬০টাকায়, পাঙ্গাস মাছ ২০০,২৮০ ও ১৫০ টাকায়, কাতল মাছ ৪০০, ২৮০ ও ২০০টাকায়, গলদা চিংড়ি ৬৫০ ও ৬০০ টাকায়, সিলভার কাপ ১৫০টাকায়, বাঘার মাছ ১২০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সামুদ্রিক টুনা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০টাকা কেজিতে।

এছাড়া নগরীর মাস্টারপাড়া কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকটি সবজি ছাড়া স্বাভাবিক রয়েছে সবজির বাজার। পেঁয়াজ গত সপ্তাহের তুলনায় ৫টাকা বেড়ে ৩০টাকা, মরিচ ১০০টাকা, রসুন ৮০—১০০টাকা, নতুন আলু ২৫টাকা ও গোল আলু ৩০টাকা, মটরছুটি ৩০টাকা বেড়ে ৮০—১০০টাকা, টমেটো ২০টাকা, বেগুন ২০টাকা, দেশি ফুলকপি ২০টাকা পিস, হাইব্রিড ফুলকপি ১৫টাকা পিস, বাধাকটি ১৫টাকা পিস, পুঁইমুচরি ১০টাকা বেড়ে ৫০টাকা, শসা ৩০টাকা ও ক্ষিরা ৪০টাকা ও গাজর ১০০টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া নগরীরি বিভিন্ন চাউলের আড়ৎ দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় স্বাভাবিক রয়েছে চাউলের দাম। আঠাশ বিক্রি হচ্ছে ৬২টাকা, মিনিকেট ৭২টাকা, বাসমতি ৮৫টাকা, চিনি গুড়া ১২০-১৪০টাকা,  সিল্ক কাটারি ভোগ (নতুন) ১২০টাকা, আউস ৫৫টাকা, গুটি শরনা ৫২টাকা, কাটারি ভোগ আতপ ৯০টাকা, তামরি আতপ ৬৫ টাকা ও মোটা আতপ ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চাউল কিনতে আসা, এক ক্রেতা বলেন, “আমি কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষেও নেই আবার বিপক্ষেও নেই, আমার সমস্যা ৭২টাকা কেজি মিনিকেট চাউল  কিনে খেতে। ৭২ টাকা কেজি চাউল কিনে খেতে আমার কষ্ট হয়, প্রধানমন্ত্রী তো কালকে আসবে, ওনাকে অনুরোধ করবেন যেন চাউলের দাম টা কমিয়ে দেয়। ”